ডিজিটাল মাঠে বক্তব্য দিতে আসলাম
আসলাম নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এর নিচে বসে
নানান অনলাইনে নানান সমালোচনা শোনে শোনে
একখান দুখান কথা নিয়ে।
শুনবেন তো আজ মন দিয়ে?
তার আগে বল
কোথায় ভোট দিবে,,?
কোথায় দিবে ভোট?
জানিস না।
তাহলে শুন,মন দিয়ে
যেথায় সামান্য ছায়া মিলে,,
দুপুর দিনে একটু হাওয়া মিলে।
কিবা ব্বর্ষার মেঘে
যে নিজের ঘর হতে বের হয়ে
ছাতা নিয়ে আসে পথে।
তাকেই আজ ভোট দিয়ে দিবে।
ভোট দিয়ে দিবে তাকে
যে মাইকের আগে কথার সাথে
কাজ নিয়ে হাজির হয় দুয়ারে।
যে মিঠাই সন্দেশ নয়
সামান্য পান্তা ভাত নিয়ে আসে আদরে।
তাকে ভোট দিয়ে দিবে।
ভোট দিয়ে দিবে তাকে
যে মাঝি হয়ে নদী করে দেয় পার
যে ট্রাক্টর হয়ে জমি করে দেয় চাষ
যে নলকূপ হয়ে জল তুলে আনে
মাটির অচীন তল হতে।
যে তোমাকে আন্ধার ঘরে রেখে
বিয়ের বাতি জ্বালিয়ে দেয় না পথে ঘাটে।
তাকেই হ্যা তাকেই জানিয়ে দিও
তোমার সম্মতি।
তুমি তাকে ভোট দিয়ে দেওয়ার
নিয়ে নিয়েছ প্রস্তুতি।
যে তোমার উনুন ভরে আগুন হতে পারে
আবার পারে হাড়ির ভিতরে হয়ে যেতে জল।
তাকেই দিও তোমার ভোট নামের এরিস্টটল আঁচল।
ভালোবাসায় বন্দী করিও তাকে
যে তোমার জন্য নয়,,তোমার আগামীকালের তরে
ঘাম ফেলতে আসে তোমার উদ্যানে।
তোমার কথায় লিখে কবিতা
তোমার কথায় সাজায় গান
তোমার কথায় বানায় মুকুট
তোমার কথায় তুলে ভাষণ
তোমার বিবেক সুরে ,,সাজায় শাসন।
তাকেই দিও ভোট,,
দিও লয়ে উল্লাসী মন।
যদি ভোট দিতে তাকে নেমে যেতে হয় পঙ্কিলে
নেমে যেও,,
যদি সম্মতি জানাতে তাকে ,,ফেলতে হয় ভেঙে
ওই সকল দেয়াল।
তাহলে ভেঙ্গে দিও।
তবু জানিয়ে দিও,,
যে পাহাড় হবার স্বপন দেখাতে পারে ক্ষুধার্ত উদরে
আমি তার।
যে মহা দেবতাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে
আমি তার।
যে সাপের বসতি ভেঙ্গে ,,বানাতে পারে জরৎকারুর ঘর
আমি তার।
যে হায়েনাদের বূহ্য উড়িয়ে দিয়ে,,নাঁচাতে পারে পদ্মার জল
আমি তার।
যে বন্যার নগরে ,,শুন্যে উড়াতে পারে লোহার জাহাজ
আমি তার।
যে পারে,,সকল অন্ধকারের মুখে চুন মাখিয়ে
ঢেকে দিতে কালো।
আমি তার চরণেই ঢেলে দিতে চাই
আজ সমস্ত ভোটের আলো।
#############
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
০৭/১/২৪