পশ্চিমবঙ্গ আমি তোমাকে ভাগিরথীর তলদেশে খুঁজছি
হারিয়ে গেছ ,,আজ একদিন হয়।
তন্নতন্ন করে,,রোদনে রোদনে খুঁজছি
মাতমে মাতমে খুঁজছি,,,
পেয়ে গেলাম তোমায়,,ভাগিরথীর মহানির্বান তলদেশে
প্রায় চল্লিশ খানা বস্তা বন্দী তোমার দেহ সেথায়
কোন বস্তায় তোমার দেহের সত্তর টুকরো
আবার কোথাও বা পচিশ ত্রিশ চল্লিশ।।।

আমি অবাক হলাম না,,,
হবইবা কেন?
এই ত চেয়েছ তুমি,,,।
তোমাকে ভাগিরথীর তলদেশে পাওয়া যাবে
খন্ড খন্ড ছিন্নভিন্ন দেহে,,,
কোথাও তোমার দেহ থাকবে থ্যাতলানো ,,
কোথাও বা ধর্ষিত,,,
কোথাও তোমার দেহে লিখা থাকবে
গ্রেট কিলিং কলকাতা,,,কিবা
লিখা থাকবে নোয়াখালি ,,,,!

এমন চাওয়া বলো কয়জন চাইতে পারে?
অতি মানব না হলে কেউ কি তা পারে?
অতি জ্ঞানি না হলে কেউ কি তা ভাবতে পারে?
অতি বুদ্ধিতে পূর্ণ না হলে কেউ কি তা
কল্পনাও করতে পারে?

না গো না। পারে না।
তুমি যে অতি জ্ঞানের সাগর,,,অতি মহাত্মা
তোমার কোনায় কোনায় যে ,,নোবেল করে হাটাহাটি
তাই তুমি পেরেছ,,।
তোমার দূয়ারের সামনে
তোমার রামকৃষ্ণ মিশনের গলিত দেহ,
তোমার সেবাশ্রমের পিঠে কালো কালো বেতের দাগ
তোমার ইসকনের উপর
ময়লা ফেলা দেখেও
তুমি পেরেছ,,,।
তোমাকে যে পারতেই হত,,,।

তা না হলে উপায় কী ছিল বল?
এত কিছু সহ্য করে,,কার ভাগ্যে বল জুটে
এমন ভুসুকুপা বস্তা বন্দী,,
তাও ভাগিরথীর তলদেশে?
শুধু কী বস্তাবন্দী ,,,,!
বস্তার উপর যে আঁকা থাকবে,,ইন্দ্রজাল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
আঁকা থাকবে শিক্ষকের চেয়ারে হীরক শিয়াল
আঁকা থাকবে রেশনের থালায় নীলদর্পণ ইদুর ,,
আহা কী শান্তি তোমার,,আহা কী শান্তি
ভাগিরথীর তলদেশে শুয়ে শুয়ে শুনবে
রেখা পাত্ররা ,,বাঁচাও বাঁচাও বলে আরো কাঁদছে
কাঁদতে কাঁদতে এক সময় চুপ হয়ে গেছে প্রতিমা মন্ডল,,
শুনবে কার্তিক মহারাজরা ,,রাস্তার উপর
খালি পায়ে,,কেবল হাটছে আর হাটছে,,
হাটছে আর হাটছে,,
তুমি তৃপ্ত হবে ,,,,সেথায়,,,।

ঢেকুর আসবে তোমার ,,খন্ড খন্ড দেহে,,।
মহা মহা,,,মহাঢেকুর।।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের গন্ধটা,,,
কিবা শিক্ষকের চেয়ারে শিয়ালের ডাকটাই
ভেসে থাকবে ভাগিরথীর জলের উপরে।
কল কল করে বহে যাবে জল,,,সাগরের দিকে,,,।
শুধু দাঁড়িয়ে থাকবে ভাগিরথী,,,
ভিন্ন কোন নামে,,ভিন্ন কোন নর্দমা রূপে!!!

আমি কী ভুল বলেছি পশ্চিমবঙ্গ,,
বলত,,,সত্যি করে
ভাগিরথীর তলদেশ হতে??
######################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
০৫/০৬/২৪