যে দেশে বরফের স্তুপে জন্মে না
কোন প্রাণ এত সহজে।
সে দেশেও জন্মে গেল এক তুলসী।
তাও বিশাল এক তুলসী।
যার পাতার নিচে আশ্রয় নিতে পারে
নানান গ্রহের যে কোন নগরী।
যার শাখার উপর বাস করতে পারে
যেকোন কপোত শান্তির পাখায়।
যার শিকড়ের রস স্পর্শ করে
নর্দমার জলও হয়ে যেতে পারে গঙ্গার জল।
যার মঞ্জুরীর হাওয়ায় হাওয়ায়
যে কোন বৃদ্ধ শিশু নারী
পেয়ে যেতে পারে প্রাণ চঞ্চলতা।
আমি সেই তুলসী গাছের পাতায় পাতায়
গোবর লাগিয়ে দেখেছি।
আহা আহা কী চমৎকার রূপে
নিমিষেই সে গোবর হয়ে গেছে তিলক মাটি।
আমি সেই তুলসীর গাছের পাতার রসে
মল মূত্র লাগিয়ে দেখেছি।
কী এক অপূর্ব গুনে
সহসা তা রূপ নিয়ে নিয়েছে আতর সুবাসে।
আমি অনেক দূর থেকে
এই তুলসী তলে প্রদীপ জ্বালিয়েছি।
অনেক দূর থেকে সেই তুলসী তলে
প্রণাম।জানিয়েছি।
দেখেছি সেই প্রদীপ স্বর্গের আলো হয়ে
সকল অন্ধকার দূর করে দিচ্ছে নিমিষে।
আমার প্রণামের ভাষায় সেই তুলসী
কানে কানে এসে জানিয়ে গেল
অতি দূর্লভ হাসিতে।
আমি যেমন দেব দেবীর প্রিয় অতি সরল প্রাণ
তেমনি ঔষধি রূপে নানান রোগের জন্য
মহাবিপদজনক গুনগান।
আমাকে দেখে হাততালি দেয় যে হাত
তেমনি ভাবে ভয়ে কেঁপে উঠে
বক্ষব্যাধী অন্যের বক্ষে থেকে
আমাকে দেখে।
আমি তাই জন্মে গিয়েছি বরফের দেশে
বরফকে ভালোবেসে।।
বক্ষের ব্যাধি বক্ষে করব নাশ
বাস করে দেব দেবীর শ্বাসে ।