আমরা অসভ্য হয়ে গেছি
আমাদের যা যা আছে তা সব
সভ্যতা ছেড়ে
অসভ্য হওয়ার প্রতিযোগিতায় ঝাপ দিয়েছে।
আমাদের ঘরের ছাল হতে মাটি
যত অসভ্য হতে পারে
ততই নিজেকে সুখী মনে করে।
আমাদের গোয়ালে বাধা গরুটাও
অসভ্য হলে ঘাস খায়
উঠানে রাখা সাইকেলটাও
অসভ্য হলে চলে।
তা না হলে সব স্থবির হয়ে যায়।
কোথাও কোন গতি আসে না।
আমরা বেশ আদর করে অসভ্য হয়ে গেছি।
অসভ্য হওয়ার জন্য আমাদের বিড়াল ছানাগুলির হাতে
রোজ তুলে দিচ্ছি মোবাইল নামের বিষ।
যে পোনা গুলি পুকুরে আছে তার মুখের দাত
শক্ত হবার আগেই শিখাচ্ছি
কেমনে খেতে হয় বড় মাছ।
আমাদের চারা গাছ গুলি বেশ বড় অসভ্য হওয়ার
আরাম আরাম যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে গেছে।
যারা চারা যত অসভ্য বদমাস বাদাইম্যা লম্পট
তার তত গর্ব ও বিস্তার।
কী যে এক ভয়ানক অসভ্যতা চলছে
আমাদের বাড়ির পাশের বাড়িতে।
আমাদের দেয়ালের পাশের দেয়ালে
আমাদের ঘরের ভিতর ঘরে!!
আমাদের নাক চোখ মুখ সব এক্কেবারে সব
অসভ্য হয়ে গেছে।
সভ্যতার কোন কিছুই তার সহ্য হয় না।
যত জংলী পনা চারদিকে তত হাততালি
আকাশ হয়ে পাতালে।
আমাদের টিভি রেডিও সব অসভ্য হয়ে গেছে
যে বাতিটাও জ্বলে সেও ত আরো বড় অসভ্য।
আমাদের পায়ের জুতো হতে মাথার মুকুট
অসভ্যদের গোলামে হতে লাইন দিচ্ছে।
যে পত্রিকার পাতায় ফুল নদী পাখির গান শোনা যেত
সেখানে এখন অসভ্যদের বীর্য উৎপাদন চলে।
কী যে এক ভয়ানক অসভ্য ঝড়ে আছি!!
আমাদের পথ হতে পথ আলাদা হয়ে গিয়ে
অসভ্য হয়ে গেছে।
আয়নাটা চোখের সামনেই সভ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।
যে রসি দিয়ে বাধা ছিল যোগাযোগ এর নৌকা
সেও অসভ্য হয়ে মাঝ নদীতে টিকটক করে বেড়াচ্ছে।
যে সুতো দিয়ে সেলাই করা ছিল পোশাক
সে সব সুতো আলগা আলগা হয়ে
ঘোষণা করেছে
আজ তারা বড় অসভ্য বড় বেয়াদব।
সত্যি বলতে কী আমরা সবাই অসভ্য হয়ে গেছি
কসাই কে নাম দিয়েছি কোরবানী
ঘৃণা হিংসা বিদ্বেষকে নাম দিয়েছি প্রেম
সবচেয়ে বড় ত্রাস ও ধ্বংসবাজের নাম দিয়েছি
শান্তি।
শান্তি কেবল শান্তি!!
আমরা সত্যি কি আর সভ্য হতে পারবই না?