(উৎসর্গ ***আছিয়া***)



সারা দেশে আজ বস্তাবন্দীসম পোশাকের
বৃষ্টি  হোক।
তা না হলে বীর্যের বন্যায় ঢেকে যাবে যে মাটি।

সারা দেশে কালো কাপড়ের স্তুপ
উপর থেকে নেমে আসুক।
তা না হলে ঘরের ভিতর ঘরই
হয়ে যেতে পারে
ধর্ষক।
মায়ের স্তন মুখে নিয়ে
ভেবে ফেলতে পারে শিশু
মা যে বোরকা পরে নি।

বোনের নিতম্ব দেখে ভাই
হয়ে যেতে পারে পশু
বোন যে  কালো কাপড়ে ঢাকা থাকেনি।
পিতার কোলে গর্ভবতী
হয়ে যেতে পারে কন্যা শিশু
আট বছরের দেহ নিয়ে।
বয়ানে যে শোনা গেছে কাপড়ে না পরিলে ঢাকা
ধর্ষণ করার জন্য জেগে যেতে পারে
পুরুষের অস্ত্র খোকা।

হয়ে যেতে পারে অনেক কিছু।
পদ্মার জল হয়ে যেতে পারে ধর্ষকের কামনার রস।
হাওরের সবুজ ঘাসে ঘাসে ভরে যেতে পারে
বখাটে যুবকের রাজ স্তুতি।
পথের উপর রিক্সা  থেমে গিয়ে
পথকে  বলতে পারে
তোমার গায়ের ঘ্রাণে আমার লিঙ্গ গেছে দাঁড়ায়ে।
আসো এবার তোমাকে ধর্ষণ করব আমি
আমার ভুবনে।
দেয়ালে  ঢাকা ঘরগুলিকে উলঙ্গ দেখে
দেয়াল তার লিঙ্গ বাড়িয়ে দিতে পারে
ঘরের দিকে।
পায়ের নিচে থাকা পায়ের জুতোও
পায়ের স্পর্শ পেয়েই বলবে
আসো আজ ধর্ষণ করি তোমাকে।

যে বড় বড় গাছ হয়ে গেছে বৃদ্ধ
তারাও কচি গাছকে কাছে টেনে নিয়ে বলবে
আয় আজ তোকে ধর্ষণ করি
মহা আনন্দে।
তোর গায়ে যে  কালো পোশাক নেই ঢাকা
কেবল এই অপরাধে।
বড় বড় যান...
যে গুলিতে পরে গেছে জং।
তাদের ছেলে সন্তান
ধরে নিয়ে আসবে নানান ছোট ছোট
বাহন।
অতপর ব্লেট দিয়ে কেটে দিয়ে বলবে
করো ধর্ষণ বাবা এই মালটারে।
বস্তাবন্দি হয় নি যে সে
আছিয়ার মত বয়সে।

তাই বিনীত করে জানাই ঈশ্বর
সারা দেশে আজ বস্তাবন্দীসম পোশাকের
বৃষ্টি  হোক।
বৃষ্টি হোক শ্রেষ্ঠ ধর্ষক জাতির পরিচয়
লুকাবারে!!