বেলা যদি অবেলা হয়ে যায় সময়ের খেলায়
তোমার রূপে আগুন দেখার ভয়
সত্যি আমাকে কাঁদায়।
আমি জানি মেঘ সরবে।  
পথের উপর আবার ইটের সারি সাজবে
আবার চলবে গাড়ি
আবার দু পাশে দাড়িয়ে থাকবে বাতি
সেদিন তুমি কেন হাসবে?

যেদিন কেদেছি নিজের চোখের জলে
সেদিন যদি নাহি কাদো আমায় জড়িয়ে
কষ্ট ভরা জালে।
যেদিন আসিবে ফাগুন
সরিবে আগুন আমার আকাশ হতে।
আমার পুকুর শ্যাওলা সরায়ে
ভরে যাবে নানা পোনা মাছে।
উঠানে শুকাতে দেওয়া কাপড়
ভিজিবে না আর বৃষ্টি ভরা জলে।
বাড়ির কোনে পেয়ারা গাছের পাতায় পাতায়
ঝুলবে নানান পেয়ারা।
জমির পাশের লাইনে গজিবে ঘাস
ঘরের গাভনীর উদরের জন্য।
আমি সেদিন হাসির তরে
কেন তোমার উঠানে আসিয়া
ডাকিয়া হইব .. দিকশুন্য।

সেদিন আমিও আমার মনের ঘুড়ি
ছেড়ে দিব বাতাসে
ইচ্ছে মত জলের তলে করে যাব জল খেলা
উপরে কেবল এক নদী সেজে।
আমি সেদিন আমার পকেটের কোন কোনায়
রাখিব কোন প্রকারের সুখ?
তা বেধে দেওয়ার জন্য
তোমার কাছে
কেন বাধিয়া রাখিব বুক?

আজ যখন আমার  পায়ের জুতো
ছিড়ে আছে অজানা কারনে।
জেনে শুনেও তা আমার পায়ের দিকে
তোমার সুনজর আসলো না একটিবার
হাতে হাত রেখে।
হাটছ কেবল আমার সাথে
কারন তার জানো না...
হাটার জন্য হাটাহাটি ছাড়া
তোমার সাথে আমার
আর কি কিছুই ছিল না?

ভুল করে  আমার জমিতে
মিশিয়ে দেওয়া হল তোমার নদীর জল।
এখন অনিচ্ছায় করছ বরণ
আমার জমির ফসলি
সকল আচরণ।

ক্ষমা করো হ্যা সাথী
ক্ষমা করো এমন অভাজনে।
ভেবেছিলাম প্রেম হয় অন্য কিছু
আত্মায় আত্মা মিলে!!
ঘরের কলসের জল যদি লাগে
সাগরের জলের মত।
ঘরে ফিরে তৃষ্ণা মেটাবার মনে
জমে যায় বাধা শত।।

####################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস