খুব শীঘ্রই আপনার অন্ধকার বিলাসিতায়
দূর্ভাগা দুর্ভিক্ষ
এসে তাড়িয়ে দিবে আপনাকে
আপনার রান্নাঘর হতে।
আপনার বাগানের সব
ফল উধাও করে দিবে নিমিষে!!
আপনি তৈরিত মহাপাপী সময়?

আপনার রাস্তার পাশে ডাস্টবিনের মাঝে
আর কোন মাছিই উড়বে না খাবারের ঘ্রাণে।
বরং মাছি ধরে খাবে মাছি।
নদীর তলদেশ হতে উঠে এসে কাদামাটি
দখল করে নিবে আপনার বাসভবন!!
আপনি তৈরিত হ্যা দূর্গন্ধ সময়।

রেস্টুরেন্টে রেস্টুরেন্টে ভিক্ষার থালা বিক্রি হবে
খাদ্যের বিপরীতে।
বাজারে বাজারে বাজার বিক্রি হবে
ক্ষুধার দায়ে।
উদরের অত্যাচারে গৃহপালিত গবাদি
তেড়ে আসবে আপনার দিকে।
আপনি সামলাতে পারবেন ত সময়?
বাতির ভিতর হতে সরে যাবে বাতি
ধুলিকনার মাঝে ভর করে
কোন ভাবে একটু জল পিপাসা মিটাতে চাইবে
একরের পর একর কোন জমি!
গামছার মাঝে লেগে থাকা রঙটা
কোন ভাবে দেয়ালে লাগিয়ে
জরাজীর্ণ দেয়াল দেখাতে চাইবে রঙ্গিন
সকল বাসভবন।
সেই বাসভবনে বাস করতে পারবে ত
বিষধর সময়?

বাতাসের মাঝে বাতাস হীন হয়ে
অক্সিজেন মারা যাবে শ্বাস কষ্টে।
ঘরের ভিতির কাজের থালা বাসন  
কাজ না পেয়ে
মহামিছিলে নেমে যাবে রাজপথে ।
সেই পথ সামলাতে
পারবে কী বিভীষিকা সময়?

অন্যকে দু:সময় দিয়ে উপহার
যে আনন্দ ভোজনে করছ নৃত্যগীত
এ এক অভিশাপ সময়।
এ এক বর্বর ধ্বংসযুগ
সকলের।

মেঝেতে হাল চাষ করে
যে চাষী
চাষ করতে চায় সোনার ফসল।।
সে চাষী নয়। চাষী নয়
সে ধ্বংস কালের
বিনাশবাসী।

দাবীর জোয়ারে
দুগ্ধের সাথে যে বাছুর
খেতে চায় মাতৃ রক্ত।
সে বাছুর নয়। বাছুর নয়
সে পাপ কালের
পাপীর বীর্য মাখা
মহাপাপে
মহা আসক্ত।।

সেই আসক্ত হতে
নিজের রক্তধারা রুখতে
পারবে ত গর্দভ সময়??