তোরা বিষ খাওয়াবি বলে
মধু খাওয়ার নাম নিয়েছিলি মুখে?
তোরা আমার জমির সবুজ বাগান
ধুলিষ্যাৎ করে দিবি বলে
আমার বাড়ির দেয়ালের সামনে দাঁড়য়েছিলি
রঙ নিয়ে হাতে?
তোরা আমার ঘর ডাকাতি করে
নিয়ে যাবি বলে
রাজমিস্ত্রী সেজে করেছিলি
হাকাহাকি ডাকাডাকি আমার ঘরের সামনে?
ওরে বাটপার
ওরে চোর
ওরে সমন্বয়ক
তোরা সত্যিই রাজাকার।

তোদের পোশাকের উপর লিখে রেখেছিস যে পোশাক
সে তো তোদের কেনায় নয়।
যে লাগিয়ে  দিয়েছে এ পোশাক
সে তোদের প্রভু তোদের মালিক
আমার কেহ নয়।

আমরা ওদের চিনি না
আমরা ওদের জানি না
আমরা ওদের বুঝি না।
বুঝিস কেবল তোরা
তাই
আমার উঠোনের মুরগী চুরির জন্য
মুরগীর খাবার হাতে দাঁড়িয়েছিলি সেদিন
মুরগী দরদী রূপে?
আমার পাহারাদারের রক্তে ভিজাবে বলে
আমারই আঙ্গিনা
সেদিন তোরা তুলেছিলি স্লোগান
তোরাই পাহারাদার
তোরাই আসল সেনা!!

ওরে পাপী ওরে ঘৃণিত সন্তান
তোরা এতটা জঙ্গী জানোয়ার বলেই সেদিন
অভিনয় মঞ্চে গেয়েছিলি
সাম্যের গান?
তোরা হিন্দুর মুর্তিকে দাওয়াত দিবি বলেই সেদিন
শহীদ মিনারে শুনেছিলে শহীদ মিনারের আহবান?
তোরা পতাকাটা কেটে ফেলে দিবি বলে সেন্টমার্টিনে
সেদিন পতাকা করেছিলি বিলি ঘরে ঘরে?

বারান্দায় দাড়ানো শিশুর খুলি দিয়েছিলি সেদিন
বন্ধুকের গুলিতে উড়িয়ে?
ঘরে বসে থাকা বালিকার প্রাণ ফেলে দিয়েছিলি
তারই খেলনার উপরে রক্তের স্রোতে?
তোরা পাখির মত মানুষ মেরেছিস
অন্যের নামে অন্যের বন্দুকে!!
তোরা তোদের লাভের পাল্লায় চিনির লোভে
কেড়ে নিয়েছিশ হাজার হাজার প্রাণ
ঘোমটা পরা শকুন সেজে।

কেন করেছিস এসব?
কেন করেছিস রে নরপিশাচ?
বল ত আজ আয়নায় দাঁড়িয়ে
সত্যি কী তোরা বাংলাদেশি নাকি
বিদেশী শকুনের দেশি তাজ?
শুন ওরে গোবর পোকা
শুন চর্ম কর্ণ খোলে....
সেদিন তোরা মেট্রোরেল পুড়াসনি
পুড়িয়েছিস মোদের মানচিত্র।
বিল্পবের নামে
বাসার ভিতর গুলি করে
নারী শিশু পুলিশ মারিস নি
মেরেছিস বাংলার
আত্মপরিচয়ের
সকল বিপ্লবী চিত্ত।।

তোরা মানুষ নস মানুষ নস
তোরা পশুর সমান।
পশুতে পশুতে দোসর হয়ে
কেড়ে নিয়েছিস বাংলাদেশের
সম্মান।