( এটি এক মানবিক লিখা। আপনি মানবিক হৃদয়ের না হলে এই লিখা পড়বেন না। সবাই মানব প্রেমে আবদ্ধ হোক। জাগ্রত হোক কেবল প্রেম। মানব প্রেম। সত্যিকার মানবে প্রেম)
গতকাল কিবা তার আগে
অনেকের থালায় নরমাংস ছিল।
তারা তা বুঝতে পেরেও মুচকি হাসি দিয়ে
এই মাংস খেয়েছে।
একবারো কিন্তু না করে বলেনি
হু হু হু এই মাংস আমি খাই না।
আমার থালায় এ মাংস দিলে কেন?
কোন বেয়াদব করেছে এমন বর্বর কাজ?
না তারা তা.... বলে নি।।
বরং চুপ থেকে কেঊ
গপাস ধপাস করে খেয়েছে।
আবার কেউ কাটা চামচ দিয়ে
ছোট ছোট পীস করে...
ট্যিসু দিয়ে মুখ ঢেকে ঢেকে খেয়েছে।
এ মাংসের স্বাদ তাদের চিরচেনা।
তারা জানে এ মাংস মাঝে মধ্যেই
তাদের থালায় চলে আসে।
কেমনে আসে...
কীভাবে আসে..
কোথা থেকে আসে..
তা তারা জানে না।
তবে জানে কেউ না কেউ
তাদের মধ্য হতেই এই মাংসের করে আয়োজন।
তারপর চুপ থেকে
বোবা থেকে চলে এর দারুন ভোজন।
ভাতের পাশে এই নরমাংসের টুকরা দেখে
তাদের ঘৃণা হয় না থালার প্রতি।
বরং ঘৃনা হয় মাংসের প্রতি।
এত দেরীতে কেন এল থালায়!!!
পবিত্র চিন্তা বসিয়ে দিয়ে মাথায়
তারপর চলে নিজের দাতের মাঝখানে ফেলে
এর চমৎকার ভক্ষণ।
ধন্যবাদ জানায় কেউ আকাশের দিকে তাকিয়ে
কেউ আবার জিহবাতেই সেরে নেয় ধব্যবাদ।
চোখের ভাজেও কভু লিখা থাকে ধন্যবাদ।
মনের মাঝেও মাখানো থাকে তাদের ধব্যবাদ।
ধন্যবাদ দিতে দিতে কবে যে এমন মাংসে
তাদের উদর হয়ে গেছে অভ্যস্ত।
তা তারা জানে না।
তবে এ জানে... এ নরমাংস অখাদ্য।
খাওয়া যায় না।
কিন্তু খাদ্য হয় তখন
খাওয়া যায় তখন..
যখন ধন্যবাদের সকল শব্দার্থ
বাঁচিয়ে রাখতে হয় নিজের কল্পনায়।
মন মাখানো বিশ্বাস আর কল্প গল্পে।
তখন এই মাংসই সেরা খাদ্য
সেরা ভোজন।
ওদের শিশুও দুধ ছেড়ে
খেয়ে ফেলতে পারে এই মাংস।
পেটে তার হজম হয়ে যায় এই সব
খুব তাড়াতাড়ি।।
তারপর চলে এই মাংসের
ঢেকুর তুলা ভোজন।
চুপ থাকা ভোজন।
এমনি এক নরমাংস খেয়েছে ওরা গতকাল
হয়তবা খাবেও আগামীকাল।
তবু ওদের নরখাদক বলবে কোন জন?
ভন্ডামী ও সন্ত্রাস্যতা যে নাম নিয়েছে
পবিত্র স্বজন।
##########################
প্যারিস
৩১/০১/২৫