তোমার কিছুই ভালো লাগে না,,
তোমার চারপাশে যা কিছুই আছে
তা সব ,,তোমার কাছে কেবল
লবন আর লবণ।
তোমার জন্য যে আল্পনা আঁকা হয়েছে
ঘরের সমস্ত স্থানে ,,সাদা রঙে
তা ,,তোমার কাছে হিজিবিজি
হিজিবিজি মনে হয়,,
মনে হয়,,কেঁচো কেউ রেখেছে এঁকে
তোমার জন্য!!
পাশ দিয়ে পাখি উড়ে গেলে,,,,
ভাবো শকুন গেছে উড়ে,,,
তাই বৃত্তাকারে এক অদৃশ্য দেয়াল
তুলে দিয়েছ তুমি তোমার চারিপাশে।

তোমার দুয়ারের সম্মুখেই যে তুলসী গাছগো
যার পাতা ছিড়ে খেয়ে দূর দুরান্তের
অনেকের হয়েছে ,,অনেক ধরনের উপশম
তুমি সেই গাছটাকে রোজই কাটতে চাও
এক বাড়তি উপদ্রব,,বাড়তি কাটার গাছ
মনে হয় তাকে,,,তোমার।

কেউ যদি হেটে যায়
গান গেয়ে গেয়ে,,,
তাহলে ভাবো তুমি,,তোমাকে কেউ যাচ্ছে বলে
ওলো অসভ্য মেয়ে।
কেউ যদি তোমার জন্য কিছু সুমিষ্ট রেখে দেয়
তোমারই ফ্রীজে,,
তুমি তার গন্ধকে ,,মলের গন্ধ বলে
প্রচার করে বেড়াও দিকে দিকে,,।
ব্যানার লটকিয়ে দাও,,পাড়ায় পাড়ায়,,
গ্রামে গ্রামে করে বেড়াও মাইকিং,,,
তোমাকে খেতে দেওয়া হয় না উপহার
তোমাকে উপবাস রাখা হয়,অন্নকূট এর আয়োজনে।
তোমাকে একাদশীর দিন দেওয়া হয় না
মাছ ভাত।
তোমাকে বৈষ্ণব এর পূজার মঞ্চ হতে
দেওয়া হয় না
আমিষী প্রসাদ।

ঘরের ভিতর তোমার শত কোটি ডাস্টবিন ভর্তি
মেঝেতে কেবল ঘাস আর ঘাস
দেয়ালের উপর কত যে জঙ্গল,,
বিশ্রী নালার উপদ্রব কেবল আয়তনে।
যে আশ্রয়ে আছ তুমি ,,আরামে আয়েশে
সেথায় প্রতিটি ফুলের কলি যখন
বাতাসে হেলে দোলে,,

তাও তোমার কাছে লাগে এক জঘন্য বর্বর।
কুমিড়ের মুখের মত মুখ মনে হয় তাদের
তাদের সমস্ত শিশুতোষ আচরণে
বিরক্তির রেখা টানিয়ে দাও ,,তুমি তোমার
মুখের মানচিত্রে
বিষাদ নজরে ,বিষাদ মনে তুমি
ছটফট করো এক নাগিনীর মত,,,
নিজের ডিমকে কেবল ডিম মনে হয়
বাকী সকল ডিম,,তোমার কাছে
লাগে আপদ বিপদ আছে যত।
বিড়াল দেখিয়ে তুমি ,,তোমার সুজনে
ডেকে বলো,,ওই দেখ,ওই দেখ
বাঘ আমারে আসছে খেতে।
হাড়িতে বুত বুত শব্দ হলে অন্নের
তুমি কান চাপা দিয়ে ,,করো হাউ মাউ
জমায়েত করো ,,বিশাল অভিনয় কাতরে।
হাড়ির ভিতর বোমার শব্দ গো
বোমার শব্দ,,
আমাকে মেরে ফেলবে ,,

তুমি হাসি খুশিতে ,,সুখ পাও না
সুখ তোমার দু:খে।
কেউ যদি তোমার অত্যাচারে না হয় দু:খী
তাহলে মনে হয় তোমার
আজ সূর্যই উদয় হয়নি পৃথিবীতে।
তুমি যদি আগুন না লাগাও
অন্দরমহলের প্রতি কোনে,,
দেহ তোমার ছটফট করে,,তপ্ত তাপদাহে।
অতপর দাবানলের মত,,যতই পুড়ে
আলয়ের প্রতি ইঞ্চি ইঞ্চি,,
ততই তুমি শীতল হও,,শান্তি পাও
নারীর পোশাক পরে বসে থাকা
ওহে ,,,অ-নারী।

সত্যি করে বলত,,,
কী দরপত্র নিয়ে এসেছে বাইর হতে
আমাদের জগতে,,,?
কেন বার বার ঘরের খুটি ভেঙ্গে
নিয়ে যেতে চাও,,তোমার মাতৃ আলয়ের
বারান্দার দুয়ারে!!
কেন শত মিষ্টি ছড়িয়ে সেথায়
কেবল বিচুলি পাতা হয়ে
ছড়িয়ে পড়ছ হেথায়?

চাওয়া পূরনের আশায়
কেন নষ্টামির ধাওয়া করো,,এমন
ঘরের সমস্ত ছোট বড় প্রাণে?
কেন এমন ডাইনী স্বভাবে,,,
সাদা কাগজের উপর লিখে বেড়াচ্ছ
নিজের মনের নালার কালো জলে জলে।

সব কিছু তোমার লাগে নালা নালা
আপন স্বভাবের উন্মাদ ,,,,তালে তালে।
তুমি কি কখনো নারী হয়ে জন্মাওই নি
নারী দেহটা লয়ে?

কেবল পোশাক পরে নিচ্ছ নারীত্বের সূযোগ
করে যেতে যা তাই,,অ-নারী হয়ে???

########################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
১৫/০৫/২৪