একদিন আমাদের সেই সুদিন ফিরে আসবে
আবার উঠানের কোনে গজে উঠবে সবুজ ঘাস।
পুলিশের রক্ত লাশে লাল হওয়া মাটিতে
ফুটবে লাল লাল রক্ত জবা।চরম নিরাপত্তায়।
চারিদিকে হাহাকার রবের মাঝে
শোনা যাবে প্রেম ভালোবাসার হর্ষ ধ্বনি।

রিক্সাওয়ালার হাতের মুটিতে মুটিতে
শক্ত চামড়ার উপরে থাকবে ভাতের  অফুরন্ত  দাগ।
আবার ব্র্ষার জল লাগলে গায়ে উপর্যুপরি
হবে না কারো কোন এলার্জি।।
কারো থালায় থাকবে না
চোখের জলের অনিশেষ চিহ্ন।

আবার সেদিন আসবে ফিরে।
বাড়ির মুরগীটাই দিবে
ডিমের পর ডিম।
খুকির দূরন্ত পায়ের তলায়
পরে থাকবে নানান শিউলি ফুল।
খোকার হাতের খেলনাটাও খেলবে বেশ।
বাছুরের তিড়িং বিরিং নাঁচে
আবার মুখরিত হব নতুন দিন।

টিভি ভরে থাকবে আকাশের তারা ধরার সংবাদ
মোবাইল ভর্তি গান নাটক সিনেমার লাফালাফি ।
রান্না ঘরে পিঠে পুলির ঘ্রাণ।
বাজারে আই ফোনের বিশাল চাহিদা
আলু পিয়াজ পঁচে থাকবে ঘরের কোনে।
মাছওয়ালা সবজীওয়ালা দুয়ারে দুয়ারে
করবে হকারী নানান কাকুতি মিনতিতে ।
আবার আসবে সুদিন
আমাদের ঘরে।

ঘরের আলমারিতে বাসা বেধেছিল যে মাকড়সার জাল
তা সরে যাবে নিমিষেই ।
বইয়ের উপর জমেছিল যে ধুলিবালি
তা নিজ হতেই যাবে পালিয়ে।
পালিয়ে যাবে চশমার উপর লেগে থাকা গিরগিটি রং।
মুখ দেখাতে পারবে না ঘরের বাতির
আশ পাশে ভিড় করা নানান পোকা।
লুকিয়ে লুকিয়ে যাবে দূরে
ওই সব অভদ্র হায়েনার দল।
যারা কুকুর বেশে পাহারা নাটক করছে মঞ্চস্থ
ফটকে ফটকে ।

সেদিন একবার হলেও একটু
চোখের জল হাতে নিয়ে দেখিও সবাই।
চিনতে যেন পারো তোমাকে।

হাওয়ার মাঝে যে ভাস্কর্য ভাঙ্গার শব্দ
তা শুনতে পার যেন হৃদয়ে।
যেন আম বাগানের ছায়ায়
শান্তি নিয়ে প্রাণে
সত্যি সত্যি তুমি বলতে পারো
হ্যা আমি তোমার।
আম্র কানন আমি তোমার।
দোয়েল পাখিটাকে দূর হতে দেখেও
যেন বলতে পারো
হ্যা দোয়েল আমি তোমার।
বিলের শাপলা ফুলটাকেও জড়িয়ে ধরে
বলতে পারো
হ্যা শাপলা আমি তোমার।
পদ্মার পারে যে ব্রীজ টা দাঁড়িয়ে আছে
সেথায় গিয়ে কেউ স্পর্শ করিও না তাকে।
তবে দূর থেকেই বলিও
হ্যা সেতু আমি তোমার।
আমাকে ক্ষমা করে দাও
অন্তরে অন্তরে।
অন্ধকারের দিনে আলো যে পারিনি দেখাতে
আমি এই আমারে!!!!