আমি ভেবেছিলাম ,,তুমি এবারো বলবে
ওই কথাটি,,ওই যে সেই কথাটি
যে কথাটি কচু কাটার দিন বলেছিলে,,
যে কথাটি লুকিয়ে থাকা অনেক নিরীহ হরিণ
খেয়ে ফেলা বন্য নেকড়ে দেখে বলেছিলে,,
বলেছিলে রক্তের পর রক্ত নিয়ে খেলে যাওয়া
সেই জানোয়ার দেখে,,
যে মুখ মুছে গিয়েছিল তোমার আঁচল দিয়ে।
ভেবেছিলাম এবারো বলবে,,,
কলা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে,,
বজ্রপাত হতে অনেক বন্য প্রাণ বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে
একটা নিরীহ প্রানীও যদি কেউ
খুন করে এমন ভাবে,,
তাহলে সমগ্র বিশ্বকে করল খুন
এই অসভ্য অভব্য জনে।
কিন্তু না ,,
একি? আমি এ কী দেখি?
প্রতিশোধের নেশায় হাতে রক্ত মাখিয়ে
তুমি বললে,,,ঠিক আছে,,
বললে ওই নারীর দেহ কে লন্ডভন্ড করেছে যে
পশু
কিবা নিরীহ ইনোসেন্ট কে
পাখির মত গুলি করে মেরেছে যে
আপন অভ্যাসে,,
তুমি বললে ও বীরের কাজ
প্রতিশোধ,সাহস ,অনেক আশার আশে।
বললে যে বালক দেখেছে তার বোনের রক্তস্তুপ
যে বৃদ্ধা দেখেছে যমদূতের জঙ্গী চেহারা
যে নিরস্ত্র জন কিবা জননী
খাবারের টেবিলেই সন্তান সন্ততী সহ
দেখেছে মরন নিয়ে হাজির
মানুষ নামের শয়তান।
দেখেছে অবুঝ শিশু তার খেলনার উপর
ঝাপিয়ে পড়েছে জঘন্য সর্প।
দেখেছে এক বিদেশিনী তার গানের আসরে
উড়ন্ত বিষের মত উড়ে এসেছে শ শয়ে
গলিত পচা নালা,,মৃত্যু নিয়ে।
সবার সম্মুখে উলঙ্গ করেছে রমনী
সবার সম্মুখে তুলে ধরেছে বিষাক্ত ধরনী
সব ঠিক আছে,,
বললে সব ঠিক আছে,,
ভোলে যাও এসব,,ভোলে যাও।
দেখ একবার আমার দিকে,,আমাদের দিকে
এমন কত যন্ত্রণায় ডুবে আছি
কত দিন ধরে,,।
তাই বলতেই পারলে না,,
পারলেই না,,,
ওই যে সেই কথাটি
যে কথাটি বলেছিলে কচু কাটার দিনে।
বললে কেবল প্রতিশোধ
চরম প্রতিশোধ নানান দু:খে,নানান শোকে।
আমি কলমের নিচে কলম রেখে
আকাশের নিচে আকাশ,,
আমি কাগজের পর কাগজ রেখে
হয়ে গেলাম কেবল হতাশ।
সত্যি বলছি তোমাকে চেনা জানার হতাশ।
সেদিনের সেই বানীতে
তোমাকে না পাওয়ার হতাশ।
ওই যে ওই দেখ,,,
জানোয়ারের পেছনে দৌড়াচ্ছে জানোয়ার অস্ত্র হাতে
ওই যে রক্তের পেছনে দৌড়াচ্ছে রক্ত
নানান বানী হাতে
কিছু মানুষ এগিয়ে দিচ্ছে আঁচল কিবা রুমাল
রক্ত মুছার তরে,,
সত্যি করে বলেত সেদিন তুমি
করোনি কী এমন কাজ,
নানান মুখোশে,,,?
মুখোশ কি বানাও নি সেদিনের সেই বানী
যা আজ বলতে পারোই না,,
অভিনয়টাও করে?