এখানে মানুষ মারা হয় মানুষের নামে।
খুব সযত্নে ভেঙ্গে ফেলা হয়
ঘর বাড়ি দালান কোটা।
অন্যের লাগানো সবজি বাগানটাও
লুট করতে ছাড়া হয় না এখানে।
অন্যের শাড়ি ব্লাউজ যা যা আছে
তাই এখানে করা হয় ডাকাতি।
তারপরেও এখানে কোন ডাকাত আসে না
লাগিয়ে দিতে তার সাইনবোর্ডে!!
চোরাবালির মাটি হয়ে
এখানে সবাই
দাড়িয়ে আছে প্রাসাদের ভূমির দাবী লয়ে!!
কসাইয়ের হাতের রঙ
মেহেদির রঙ বলার
শিরোনাম এখানে বেশ জনপ্রিয়
বাজেও ভালো নানান অন্তরের
নানান অদৃশ্য বাদ্যযন্ত্রে।

যদি এখানে কোন শিশুর মুখ হতে
কেড়ে নিয়ে কেউ খেয়ে ফেলে শিশুর খাদ্য
চারদিকে হাততালি ছাড়া কান্নার আওয়াজ
তেমন একটা নেই বললেই চলে।
খুব চুপ থাকে নগর নাগরী কিবা
সকল বাতিঘর।
যদি এখানে কোন মায়ের হাত হতে
কেড়ে নিয়ে পিঠেপুলি
খেয়ে ফেলে দানব
অভুক্ত রেখে মায়ের সন্তানে।

কথাই বলে না কেউ
যদি বিড়ালের অত্যাচারে ফ্রীজ বন্দি মাছও
নিজের লাশ বাচানোর আকুতি তুলে
সামান্য আওয়াজে।
চারদিকে সুনসান নীরবতায় মুগ্ধ থাকে
সময় চারপাশ।
মগ্ন থাকে আনন্দ আয়োজনে
যদি সমগ্র জঙ্গলে ঘাসের অত্যাচারে
লতা পাতার আগ্রাসনে
হারিয়ে যায় এক দুটা ফুল গাছ।
অপরাধ তাদের সংখ্যায় কেন কম
এ স্থানে এ সময়ে?

তাই কোন অসভ্য বর্বর যদি
মুতে দেয় সেই মাটির থালায়।
যে থালা গুটি কয়েক হয়েই
এখনো বসে আছে
প্লাস্টিকের উন্মাতাল অঙ্গনে।
তাহলে ইচ্ছে করেই ঘুমিয়ে পড়ে নগরী
লাইট ভেঙ্গে ঘরের ভিতরই অন্ধকারে চলে যায়
গ্রন্থাগারের সাজানো গুছানো বই।
নিজের উপর কালো কাপড় লাগিয়ে
চশমাটাও ঘুমিয়ে পড়ে নাক ডেকে।

কেন ?
কেন এমন কিছু করে তারা
এমন সুন্দর সচেতনে?

অন্ধকারের ক্ষুধা কী মিটায় তারা
আলোর রূপ নিয়ে?