সেদিন মাংস খেতে পারো নি বলে কেঁদেছিলে।
দাবী তুলেছিলে
মাংস খেতে চাই। মাংস!!
চারদিকে তখন ক্ষোভ করেছিলে জমা।
জমা করেছিলে হিংসা আর রাগ।
একত্র করেছিল ছলনা ভরা প্রতিবাদ।
ইচ্ছে ছিল মনে ভিন্ন বাসরে ভিন্ন কিছুর।
মহিষের চোখে বেধে দিয়েছিলে তাই লাল কাপড়।
মাংস খেতে পারি না পারি না
এর টেপ রেকর্ড লাগিয়ে দিয়েছিলে
সকল বিড়ালদের কানে।
ঊদ্ভট আয়োজনে সাপের কারখানায় দিয়েছিলে
দাবী তুলে একসাথে।
এখানে শষ্য আছে
এখানে গম আছে
এখানে সবজি আছে
এখানে অনেক কিছুই আছে
এখানে উন্নতির ইট আছে
কিন্তু মাগার মাংস নাই।
মাংসের জিহবা আরেক জিহবা খেতে চায়
মাংসের কন্ঠ নালী আরেক কন্ঠ নালীর
রস খেতে চায়।
মাংসের নাড়িভুড়ি আরেক নাড়িভুড়ি
খেতে চায়।
মাংসের উদর আরেক উদর হজম
করতে চায়।
তাই তোমার পত্রিকা তোমার টিভি
তোমার মোবাইল সেট তোমার সকল টিকটক
নেমে গেল একসাথে ভীষণ প্রতিবাদে।
যে জননী ভাত খাওয়ায় আপন হাতে
সে কেন রোজ দেয় না ঘী
ঢেলে তোমাদের পাতে???
প্রচন্ড অসুর বিলাসে তাই তুমি
স্বঘোষিত অসুর।
প্রচন্ড বর্বর রাজাকার নেশায়
তাই তুমি স্বঘোষিত রাজাকার।
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিলে মাটিতে ছড়িয়ে থাকা
সকল নদী নালা খালা বিলের
রসালো সংসার।
উপরের এক স্বঘোষিত ফেরেস্তার ইশারায়
ছাড় খার করে দিলে সব।
পুলিশের লাশের স্তুপে করে রাখলে
আইন কানুন সংবিদান
হাস মুরগী কাটার মত।
হিন্দু হিন্দু বলে ফেলা তুললে
তোমার ঘৃণা মাখা নজরে।
অতপর
যে থালায় খেতে সবজি হতে দানা শষ্য
কিবা নানান মাছের নানান তরকারী
তাকেই বানিয়ে দিলে তোমার টয়লেট
মুখ দিয়ে নানান মল বের করে।
এখন তুমি চরম অনাহারী
বুভুক্ষু
এক কনা দানার তরে।
কোলে বসে গালি দিয়েছিলে যারে
কেন সে ধরে দেয় না তোমায় চন্দ্রটারে।
এখন মাটিতে পড়ে
অন্ধকারে করছ গড়াগড়ি
করছ হায় হায়
তোমার দেহের... তোমার জল্লাদ ভাগাড়ে।
কল্পনার ভীষণ
ভালো জান্নাতের ফল খেতে চেয়ে
খেয়ে ফেললে মাটির উপরের.... আমের বাগান
নিজের দন্তে নিজেই পোকা হয়ে।
এখন তুমি কোটিপতি হওয়ার
দাবীর থালা
হাতে নিয়ে করছ ভিক্ষে
হয়ে ফকির
ঘুরে ফিরে দুয়ারে দুয়ারে।
ভাবছ কভু আবার যদি আসত মা
আসত সে লক্ষ্মী
যে .....আমারে দু বেলা দু মুটো ভাত
দিত আদরে মুখে তুলে।
যে ...আঁচল দিয়ে রাখত ঢেকে
ঝড় তুফানের জঞ্জালে।
যে .. চাদঁ তারা এঁকে
হাতে দিত ধরায়ে
নানান স্বপ্ন উন্নতির ইট পাথরে।
এখন তুমি আতুর ল্যাংড়া কানা।।
রান্না করে খাওয়ানো মায়ের
হাত খানা ভেঙ্গে দিয়ে
তোমাদেরই
সকল প্রকার সংসারে।
##################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস