পানির উপরে যে মাছটা বেশি লাফালো
সেই মাছই নাকি সবচেয়েবেশি বড়!
তারই নাকি বিশাল গুন,,

আমি ভাবলামও তাই
তাই মাথার উপর কিছু শুকনো মাটি লাগিয়ে
আমিও নেমে গেলাম জলে।
আমি যদি খুব বেশি ভেসে থাকি
তাহলে কিছুটা ডুবিয়ে রাখে যেন মাটি
আমারে।
আমি নামলাম,,,
অনেক লাফালাম।
সাথে কয়েক প্রকার ব্যাং ছিল বেশ।
তারাও লাফালো বেশ সুন্দর আবর্তনে।

আকাশে তখন নানান ধরনের ট্রেনের শব্দ।
সবগুলিই বিদেশি ট্রেনের শব্দ
মেঘ হতে তখন পড়ছিল পাহাড়ের মত
নানান ধরনের কাগজের ফুল।
তাদের গায়ে লিখা ছিল
আমি সুন্দর,,আমি বড়
আমি গুনী,,আমিই যোগ্য।

ট্রেনটা ধরে আমি যাব উড়ে,,যোগ্যতার ঘরে।
ঠিক এমনি সময় দেখলাম,,জলের নিচে মাটিতে
একেবারে কাঁদা মাটিতে বেশ শান্ত হয়ে
বসে ছিল যে বিশাল বিশাল মাছ গুলি।
তারা তাকালো আমার দিকে ।
কিঞ্চিত অবহেলা,,কিঞ্চতি ঘৃণায়।
আমি তাদের চোখে কিছু দেখি নি
দেখেছি নজরে তাদের ময়লায় ভরা
থুথুতে ভরা,,ভরা সকল প্রকার মলে।

অভিশাপ দিচ্ছে ওরা আমাকে
আমার মত করে।
আমি যে ওদের জায়গায় খেলেছি আমার মত
ওদের স্থান দখল করে।
নজর আমার তাই দেখে এমন
ওদের নজরে।

আমি এখন ভীষন গুনি
কেবল লাফালাফি করে
জলের উপরে।