কারো মন ,,
যদি কোন নদী দেখে আকর্ষিত না হয়!
কারো অন্ধ চোখ ,,সে যদি নদী না ই দেখতে পায়
তাহলে তারা সাঁতার কাটার জন্য
কেনই নামবে নদীতে?
কারো মালভূমি মন যদি পাহাড় দেখলেই
বিচলিত হয়ে যায়,,,।
শান্তিতে সেথায় মিশতে চায়,,,বসতে চায়।
তাহলে কে তাকে থামাবে এমন বাসনায়?
আবার কারো অনুভব যদি
কখনো বিপরীত পাশের আকাশ নয়
সম পাশের আকাশে অমৃতময় অনুভূতি পায়
কিবা আবেগ,বিবেক,স্পর্শের চুড়ান্ত ঠিকানা পায়
তাহলে তার অনুভূতি কে বাধবে কোন রশিতে?
অনেক আগুন জল দিয়ে নিভতে চায় না
আগুনের স্পর্শেই ডুবে যেতে চায়।
অনেক তুষারপাতে জমা বরফ ,,সূর্যের আলোতে
চায় না গলতে।
বৃষ্টির পরশে ঢলিয়া ঢলিয়া
যেতে চায় গলে।
তার এমন বিধান কে রুধিবে
কোন নিয়ম জালে?
কে বলবে গুল্ম লতাকে,,বনেরগাছ নয়
জনপদের পাথর ধরে করো ধরাধরি
কে বলবে ব্যাঙ কিবা কচ্ছপকে
কেবল জলে
না হয় কেবল স্থলে করো বসতি!
কেন করবে তারা দু দিকেই পদচারনা
তাদের জন্য এ কেমন জীবন
লিখে দিলেন বিধাতা,,,!
তা আমরা কেন জানি না?
মনের কোনে যে জগৎ মোরা
গড়ে দেই সমাজের নানান পাঠশালায়
সেথায় অলক্ষ্যে আড়ালে প্রকৃতি তার
নানান নিয়ম খেলায়।
অনুভূতির দেহ,,দেহ চিনে না
চিনে ভালোবাসা বাসি।
যারে ছুইলে শান্তি মিলে
বসতে চায় তার সাথেই পাশাপাশি।
শিখন্ডী লয়ে যুদ্ধ জয়ে ,,যদি হওয়া যায় জয়ী
অর্ধ্ব শিব অর্ধ্ব গৌরীর অবয়ব খানা
মেনে নিতে কেন হবে এত দেরী?
কেন তোনরা সকল কিছু
করে দিতে চাও সমান্তরাল।
পাহাড় না থাকিলে,,সাগর না থাকিলে
তোমরা নিজেই রচিবে নিজেদের আকাল।
দেহের ভিতির দেহ থাকে
মনের ভিতর মন।
সে সব কিছু ,,নিয়ম চিনে না
চিনে আপন পথে আপনার সত্য বিচরণ ।
বাইরে যা ভিতরেও তা যদি সবই হত
তাহলে নারীর পেটে পুরুষের জন্ম
কভু নাহি হত।
পুরুষ বীর্যে নারী জন্মে
নারীর গর্ভে পুরুষ।
আবার পুরুষ হতে পুরুষ জন্মে
নারী হতে নারী।
এসব ব্যাকরন বুঝিবার মত
না হলে চিত্তে অনাহারী ।
অন্ধ হয়েই রবে সদা
দেখে আলোর চোখে
দুনিয়ার অন্ধকার পুরী।