শিক্ষকরা আজ বড় অপরাধী।
তারা আশ পাশের জঙ্গলকেও
বৃক্ষ ভেবে শিখিয়েছিলেন
কীভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় মাটির উপরে।
কীভাবে মাটির ভিতরে হাত ডুকায়ে
চুষে নিয়ে
আপন করতে হয় বেঁচে থাকার রস।
তারা সত্যি আজ অপরাধি
নদীর পানিতে বাস করে যে জোক কিবা
অন্য পোকা।
তাদের সং্খ্যাই আজ বেশি।
শিক্ষক তাদেরকেও শিখিয়েছেন
কীভাবে স্বচ্ছ কিবা নোংরা জলে
তাদেরকেও বেঁচে থাকতে হয় প্রাণে।
বড় ভুল করে ফেলেছেন শিক্ষক
নিজের জ্ঞানের আলোয় অন্ধকারকেও
শ্বেত শুভ্র ধব ধবে করতে চেয়ে।
মকরকে মীন ভেবে
দিয়েছেন ঢেলে জ্ঞান তাদের মস্তিস্কে।।
এখন পুকুর ভর্তি মকর
কলসী ভর্তি মকর
নালা খাল বিল উঠোন অন্দরমহল
সব খানেই কেবল মকর আর মকর।
যে দূর্বা গাছগুলিকে ফটকের সম্মুখে রেখে
রোজ দিয়েছেন জল
তুলসী গাছে জল ঢালার সমান্তরালে।
সেই দূর্বাদের সং্খ্যা বেড়ে গেছে বেশি।
তুলসী গাছ হারিয়ে গেছে তাদের অত্যাচারে।
দূর্বা এখন দখল করেছে শিক্ষকের বিছানা ।
ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে চেয়ার হতে।
শিক্ষকের হাড়ির ভিতর টয়লেট খানা
বানিয়েছে তারা।
চেয়ার টেবিল কলম সব সব কিছু
ঢেকে দিয়েছে নিজেদের স্বভাব জাত আচরনে।
শিক্ষকরা আজ সত্যি বড় অপরাধি
এই ব চর অঙ্গনে।
তারা পতঙ্গকে পাখির সমান্তরালে
দিয়েছেন খাদ্য দিয়েছেন জ্ঞান।
উদারতার হাত ছিল তাদের সবার জন্য।
তারা বাচাই করে নি
কে সাপের বাচ্চা আর কে প্রজাপতির?
কে শিয়ালের বাচ্চা আর কে হরিনের?
কে বাঘের বাচ্চা আর কে কুকুরের?
কে ভুত প্রেতের বাচ্চা আর কে মানুষের?
শিক্ষক ভুল করেছেন বেশ
জীবনের বড় ভুল এমন আচরনে।
শিক্ষকরা আজ বড়ই অপরাধী
নিজেই নিজের অমৃত উপলব্দিতে।
যে বাতিতে তেল ঢেলে ঢেলে শিখিয়েছেন
কীভাবে হতে হয় মহাজগতের প্রদীপ আলো।
সেই বাতি তার বংশ বাড়ায়ে হয়ে গেছে
দাবানলের সর্বগ্রাসী নরকের আগুন কালো।
##################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
ফ্রান্স