হিমবাহ গলে বিনা ইচ্ছায়, তুহিন নদীর শুভ্র শিখরে
নীরবতা চিরে মুক্ত আওয়াজ, তীক্ষ্ণ শীতল গহ্বরে
উচ্চ স্বরে দূর বন্দরে, সবিনয় ধ্বনি মানপত্রে
পাহাড় থেকে পতিত কিশোর, পাথর চমক চির উচ্ছ্বাসে
ঠক্ ঠকা ঠক্ শব্দে কাঁপে, জনসমাবেশ আচ্ছাদনে
বজ্র কণ্ঠে, শব্দে দাবী, এদেশের কথা শুনতে হবে
মাটির কথা দেশের কথা, দীপ্ত হৃদয় আত্মহারা
সাবলীল ঢেউ সাগরের মত, প্রান্তিক, সীমানার সাথে;
আত্মত্যাগের মহিমায় যারা, লিখেয়েছে নাম মৃত্তিকাতে
জীবাশ্ম গলে জ্বালানি হয়ে, বেঁচে রয় দ্রুত যানবাহনে
শত বছরের বৃক্ষ শেকড়ে, হাড় নির্যাস জমির খাদ্যে
ধীরে কথা বল, তাদের কর্ম, লেখা হয়ে আছে চির উল্লাসে;
আত্মত্যাগের ছাপা কথাগুলো, হাজারো দিনের অস্ত সাক্ষী
শিশির পতন শব্দ বলেছে, তুমি তো প্রথম রক্ত দাওনি
মিছিলের শুরু সীমানা কোথায়? তবে কেন তুমি লিখে দিতে চাও
সাড়ে আট মাস মাতৃগর্ভে, ইতিহাস দিয়ে, শেষ করে দিলে?
কোটি জনতার হৃদপিণ্ডে সৌরজগৎ গড়েছে যারা
গর্ভ ধারিণী ভুলছো গর্ভে, ঔরস ভুলে আত্মহারা!
মাটির ঘ্রাণে রক্ত করবী, ক্রমবিকাশেই ছন্নছাড়া
সত্যি করে আমাকে বল, “পূর্বসূরী তাহলে কারা”?
তোমার কানে নিভৃতে বলি শোরগোল কেন করছো পথিক
সাবধানী মৃদু পদক্ষেপে, কুচকাওয়াজে হও নির্ভীক
এ মাটি এ ঘর এ দেশ সবার, ব্যক্তিগত বাগান তোমার?
শব্দ বোমায় উদাসীন হয়ে, জেগে যেতে পারে ধ্রুবতারা।।
(শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১, ২৪ আশ্বিন ১৪২৮, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩ হিজরী)