নীরবতা তুমি, মৌনতা পূর্ণ, বধির মানব সন্তান
সকাল দুপর, সন্ধ্যা রাতের, করুণায় দীপ্ত প্রমাণ
মৌনতা চলে, আলো রেখা সারি, উপশিরাতেই ধাবমান
অনাদি পদক্ষেপে, এক ঝাঁক পাখি, কলি ডাকা কলতান।
তোমায় করেছি, কৃষ্ণ সড়কে, নরম শেকলে বন্দী
ছায়ারেখা তুলি, আকাশে হারানো, তারকার দীপ্তচারী
রেখে যাওয়া কিছু, বর্ষা মেঘের, নিভৃতে জলাঞ্জলি
অজান্তে মৃদু, নিশুতি রাতের, প্রবাসীর সুরেলা ছবি।
শহরের ছুটে চলা নিরবচ্ছিন্ন, থমকে দাঁড়ানো জনস্রোত
চারপাশ ঘিরে, রেখে যাওয়া ঠোঁটে, আচমকা বৃষ্টি প্রতোদ
কারো সুখী বহমান, অথবা ব্যথার, কল্পনাতেই প্রতিশোধ
মৌনতা রেখে চলে, সময়ের নিচু, সীমাহীন আজন্ম ক্রোধ।
হামাগুড়ি খেয়ে, নিস্তব্ধতায়, ঝরে যাওয়া ফুল শেকড়ে
প্রকাশ্যে মিথ্যার, লজ্জা হীনতায়, অবাধ তথ্য প্রবাহে
প্রেয়সীর চুলে মাখা, নির্বাক ভাষা, কল্প রাঙানো অভিলাষে
মাতৃভূমির প্রতি কপটতায়, বারবার বলে, “ভালোবাসে”।
সে রেখেছে জড়িয়ে, নীরবে ছবি, প্রাণে নিশ্চুপ সম্মান
কর্ম কক্ষ সাথে, সুউচ্চ ধর্মে, সৌর জগত সমান
আঁধারেই যায় ডুবে, সূর্য পৃথিবীর, একহারাতেই প্রতিদান
কথা বলে নিঃশ্বাসে, প্রতি মৌনতা, নীরব শব্দে অভিমান।
(বৃহস্পতি, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১ আশ্বিন ১৪২৮, ০৮ সফর ১৪৪৩ হিজরী)