এখনো কি শান্ত দুপুরে রাত্রি, জেগে থাকে সীমাহীন
তবে কি হবে না প্রতীক্ষায় থাকা, শেষ সংযত মন
ক্লান্ত বিকেলে ছুটে চলা কিছু, আহার মুচড়ে রাখা
কখনো তুলিতে বাঁকা আলপনা, রক্তিম নীলাচল;
হারিয়েছে যারা পাখি মুখরিত, পুলকিত পদ্মায়
অমীমাংসিত চাওয়া গুলো চায়, অতি উচ্ছ্বাসে ঘর
মিশে একাকার শেষ গোধূলির, দিগন্ত মোহনায়
হৃদয় প্রবাহে ভাসমান দ্বীপে, নির্বাক কিছু ক্ষন;
সবুজ গালিচা রূপ নেয় মেঠো, বৃশ্চিক রাজপথে
আমিও দেখেছি তোমার ক্ষণিক, চিম্বুক ছায়াপথ
বাঁকানো চোখে খুঁজিনি নিটোল, শুভ্র চমক কপোলে
পলকে হারায় দ্রুতি মৌমাছি, প্রশান্তি উজ্জ্বল;
তোমার সীমানা আঁচল দোলায়, ঝরেছে বর্ষা রত
মাটির গন্ধে মিশে ছিলো দানা, সর্ষে ঘ্রাণের শীষ
প্রজাপতি রঙ হয়রান হয়ে, প্রশ্বাসে প্রবাহিত
সোনালী রেশম কুন্তলে ঢেউ, খেলে একরাশ নীল;
নৌ বন্দর অপেরা হাউজে, লঙ্ঘিত জ্বলা বাতি
তোমাকে করতে পারেনি আদরে, আঁচড়ে অমলিন
ভুলে গেছে স্মৃতি অস্তের সীমা, প্রান্তিক মঞ্জিলে
মুছে দিলো ছোট কর্মের দেনা, বিষাদের সঙ্গিন;
ভোরের উদয় ফিরে পাল্টায়, রবির রক্তে হারিয়ে
পাখির কাকলি বন বাসে মিশে, সন্ধ্যা লগ্নতায়
এভাবে কখনো আসেনি ফিরে, শেষ বিকেলের গান
আকাশের মায়া ধ্রুবতারা হয়, নিশি সংগতিহীন;
অজানা ই থাকে কল্প নখরে রংধুনু অনুরাগ
সাগর নীলিম ক্যানভাসে দুলে শুকতারা আফরিন।
(সোমবার, ১০ মে ২০২১, ২৭ বৈশাখ ১৪২৮, ২৭ রমজান ১৪৪২ হিজরী)
-