আঁধার মিলায় আসিছে,
বুনো মাঠে আর জংলি বনে।
জ্বলছে নিভছে লুসিফারেজের হালকা সবুজ আভা,
এখানে, ওখানে আর ঝোপের কোণে।
সন্ধ্যার নীড়ে ফেরা পাখির ঝাঁক,
আর তাদের ডানার পতপতানির সুর,
যতই শুনি মন ভরে না, কি মধুর!!

সন্ধ্যার কালো নদীর জলে মিলিয়েছে যে আলো,
জোনাকির দেহ হতে - তোমাকেই খুঁজি সেখানে।
শুভ্র বক, দাঁড়কাক বা বাদুড়ের কালো ঝাঁকে
নতুবা ধূসর প্যাঁচার মতো ডানা মেলে নিকষ অন্ধকারে
চোখে রয়ে আছে তার শত শতাব্দীর নীল আঁধার।

পানি এসে ধায়, বাধের বাঁশ কেঁপে ওঠে,
মানবমন দুরু দুরু করে, এই না হারিয়ে যাই,
কুলভাঙ্গা নদী মানে নাকো বাধা, শোনে নাকো কথা,
সময়ের তালে,স্রোতের কোলে,হারিয়ে দিয়েছে রূপ
কেড়ে নিয়েছে সাফদ আলীর দোকান, শাফিনের বাগান,
হাসমত আরার স্বামীর কবর আর বকুলের স্কুল।
বাপ হারা মেয়ে, তাকিয়ে থাকে নদীর বুকে চেয়ে
একে একে বাপের সাথে বাপের স্মৃতিচিহ্ন খাচ্ছে গিলে,
চোখের কোণে ফোটা জল, বোবা কান্নার দীর্ঘশ্বাস।
করিমন বিবি কাঁদে, পানি আসে চোখ দিয়ে তার,
এই পৃথিবী একবার পায় যারে, পায় নাক তাকে আর।