হিন্দু না মুসলিম তুমি, জিজ্ঞাসাও জনে জনে,
রক্তের রং সবার যে এক, মনে পড়ে তাকি কোন ক্ষণে?
হিন্দুর প্রতি বিশাল ক্রোধ, রাখিআছো মনে পুষে!
জিহাদ বলে আগুন জালাও, রক্ত খাও চুষে।
মুসলা বলে অবজ্ঞা করে, ছুঁড়ে দিলে তারে ফেলে,
জিঘাংসার আগুনে পুড়ে তারাও গেল, ভ্রাতৃত্ব খেলে গিলে।
দ্বন্ধে দ্বন্ধে কেটে গেল দিন, বাহ্যিক সব দেখে
খোদা ভগবান লাল রং দিয়ে, সম করে সব লেখে।
তুমি মুসলমানের ছেলে, কলাবে জিহাদ গেয়ে
দিলে জিহাদের ডাক, তাদের সব জ্বলে পুড়ে যাক।
তুমি হিন্দুর ছেলে ঘোষ, দিলে সব মুসলমানের দোষ
কটুক্তির ফলে,গায়ের বলে, লিখলে বিভেদের বিশ্বকোষ।
এক মাতার কোলে শুয়ে, এক মাতারই পদতলে,
বিভেদের ফলে, ভাই ভাই ভুলে, পুড়ছে সবাই জ্বলে।
খোদা ভগবান, তারে যা দিল, তোমায় কি কম দিয়েছে কভু?
একি হানাহানি! একি কাড়াকাড়ি! তোমায় নিয়ে প্রভু!
আমি মুসলমানের ছেলে, উঠি আযানের স্বর শুনে,
বলে সাম্য নিয়েই থাক, এটাই ইসলামের ডাক!
তুমি হিন্দুর ছেলে, ওঠো কাসরের গান শুনে!
বলে ঝগড়া বিবাদ থাক , তোরা ভাই ভাই হয়ে থাক।
রক্ত রক্ত লাল হলো সবে, তবে কি দোষ দিবি তার?
বিভেদ যদি তার হাতে হত, লাল হতো কি সবার?
গাই সাম্যের গান, এক হয়ে আজ বুকে বুক রাখি তার,
সাম্য যদি আমরা আনি, ভাঙার সাধ্য কার?