সুখ খুঁজে খুঁজে আমি,
গিয়েছি কত জনের ধারে।
দেখিতে পেলাম ঘুরে ফিরে,
সবাই আছে সুখের হাহাকারে।
সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে সমুদ্রকে বললাম,
অনেক সুখেই আছো মনে হয়,
দিবে নাকি একটু সুখ আমায়?
সমুদ্র বলে শুনতে কি পাচ্ছো তুমি?
আমার ঢেউয়ের বিকট শব্দ।
এটা আমার ঢেওয়ের শব্দ নয়,
এটা আমার সুখের হাসিও নয়,
আমার দুঃখেরা করছে এমন তান্ডব,
তাই বের হয়ে আসছে এমন বিকট শব্দ।
ঢেউ হয়ে ওরা তীরে আসে সুখের সন্ধানে,
কিন্ত সুখ না পেয়ে ওরা হয়ে যায় বিলীন।
বলো তোমায় আমি সুখ দিবো কি করে?
তারপর গেলাম আমি হিমালয়ের কাছে,
হিমালয় কে ডেকে বললাম আমি,
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছো তুমি,
এই পৃথিবীর বুকে উচ্চ স্থান নিয়ে,
আমি তাই তোমার কাছে এসেছি,
একটু খানি সুখের সন্ধানে।
আমাকে তুমি দিয়ো না ফিরিয়ে,
হিমালয় তখন আমায় বলে,
এই যে দেখছো আমার বুকের মাঝে,
কত গুলো ঝর্না ধারা রয়েছে।
অবিরত জল পড়ছে ঝর্না ধারা দিয়ে,
এটা হলো আমার কান্নার জল,
তাই আমার বুক চিরে পড়ছে এই জল।
আমার দুঃখের বহিঃপ্রকাশের রুপ এটাই,
আমি কিভাবে সুখ দিবো তোমায়?
তারপর আমি আকাশ পানে তাকালাম,
আকাশ কে ডেকে ডেকে বললাম।
তোমার মনটা নাকি অনেক বিশাল?
তাই আজ আমি তোমার কাছে,
একটা জিনিস চাইতে এসেছে।
আমি একটু সুখ চাই তোমার কাছে,
বলো দিবে না তুমি একটু সুখ আমায়?
তখন আকাশটা মেঘে ডেকে গেলো,
চারদিকে ঘোর অন্ধকার হয়ে এলো,
ঝড়ে পড়লো ঝম ঝমিয়ে বৃষ্টি।
তখন আকাশ আমায় বলে,
দুঃখ গুলো আর সইতে পারছিলাম না,
তাই চোখ থেকে একটু জল বেরিয়ে পড়লো।
বলো আমি তোমায় কোথায় থেকে সুখ দিবো?
আকাশের কাছ থেকে আমি ফিরে আসলাম।
আমি সেদিন বুঝে গেলাম,
সবাই আমার মতই দুখী।
এ জগতে সুখ নেই,
সুখ খুঁজলে হতে হবে আরো বেশী দুখী।
তাই যা পেয়েছি ভবে তা নিয়েই,
আজ থেকে নিজেকে ভাববো আমি সুখী।