দ্রুততম গতিতে দীর্ঘতম পথ অতিক্রম করে,
ছুটে চলে নাবিক বন্দরে বন্দরে।
দূর থেকে দূরে ফেলে লোকালয়ের চিহ্ন,
সমুদ্রের বুকে ওরা হয়ে যায় বিচ্ছিন্ন।
উথাল পাথাল হয়ে যায় সমুদ্র স্রোতের বেগে,
নাবিক তবু সাহস নিয়ে সমুদ্রে বেঁচে থাকে।
কত জলযান ডুবে যায় সমুদ্রের তলদেশে,
নাবিক তবু সমুদ্রকেই ভালোবাসে।
ঝড়ের তান্ডব যখন সমুদ্রের বুকে আসে,
পাহাড় সমান ঢেউয়ের মাঝে জাহাজ তখন ভাসে।
ঢেউয়ের সাথে আপন মনে নাবিক করে যায় খেলা,
ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে কাটিয়ে দেয় বেলা।
ওরা দুর্দম ওরা দুরূহ ওরা ভয়কে জয় করে,
দুর্দান্ত গতিতে ছুটে চলে সমুদ্রের বুক চিরে।
ওরা বুকে শূণ্যতা নিয়ে পূণ্যতা খু্ঁজে,
ওদের কষ্টের কথা কেউ কি বুঝে?
তোমাদের সকালে অফিস শুরু সন্ধ্যায় ফেরা,
আর নাবিকের সমুদ্রেই দিবানিশি ঘুরাফেরা।
ওদের নেই কোন অলসতা নেই কোন ক্লান্তি,
অর্থনীতির হাল ধরে রেখেছে এটাই ওদের শান্তি।
একটু রোদেই ভাবো পুড়ছে তোমাদের দেহ,
জাহাজের ইঞ্জিনরুমে ঢুকে দেখেছো কেহ?
তোমাদের চেয়ে দ্বিগুন তাপমাত্রায় কেহ কেহ,
পুড়তেছে তাদের ঐ নিস্তেজ দেহ।
তোমরা প্রিয় মানুষ কাছে পেলে দুঃখ যাও ভুলে,
আর নাবিক ওরা শুধু হাওয়ার সাথে কথা বলে।
মাসের পর মাস ওরা ভেসে বেড়ায় সমুদ্রের বুকে,
কোন প্রিয়জন আসে না ওদের কাছে দুঃখ কিংবা সুখে।
নাবিকদের কভু করোনা কেহ হেলা,
ওদের সাথে গড়ে তুলো প্রণয়ের মেলা।
নাবিকদের অবদান যেওনা ভুলে দিনের শেষে,
বরণ করে নাও ওদের মনে প্রাণে ভালোবেসে।