মধ্যবিত্ত বেকার ছেলেদের মত কেউ,
সাজিয়ে গুছিয়ে হিসাব মিলিয়ে,
জীবন চালাতে পারেনা।
জীবনের হিসাব গুলো ওরা,
এত নিখুঁতভাবে করে।
যা পৃথিবীর কোন,
ক্যালকুলেশন যন্ত্রই পারবে না।
বাবার পকেটের টাকা,
কিভাবে সঞ্চিত করা যায়।
একটা মধ্যবিত্ত ছেলে,
সেই হিসাব খুব সহজে শিখে যায়।
এর জন্য তার একাউন্টিং এর কোন,
ক্লাস করা লাগে না।
মায়ের কিছু ঔষধ কেনার বাকি,
এমন একটা সুন্দর বাক্য শুনেই,
ওরা এই ক্যালকুলেশন শিখে যায়।
মধ্যবিত্ত ছেলেদের খুদা অনেক কম।
কিন্তু মা রাগ করবে বলে,
ছাত্রাবাসে বসবাসকারী কোন ছেলেকে,
দুদিন না খেয়ে থেকেও বলতে হয়,
দিনে চার বেলা মাছ মাংস দিয়ে খাবার খেয়েছি।
রিকশায় উঠতে ভালো লাগেনা,
ফাস্ট ফুড খেলে পেটে সমস্যা।
এই সুন্দর বাণী গুলো,
বন্ধুদের কাছে উপস্থাপন করে,
আড়ালে ফিরে এসে,
মানিব্যাগের দুইশত টাকা,
এক নজর দেখে মুসকি হেসে ছেলেটা বলে উঠে,
যাক বাকি মাসটা কোনরকমে চলতে পারবো।
তখন সে যতটুকু আত্মতৃপ্তি পায়
পৃথিবীর অন্য কিছুতে তা পাওয়া যাবেনা।
ক্লাসে বসে,
গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার চিন্তার চেয়ে।
কিছু টাকা আয় করার উপায় বের করতে হবে।
এই চিন্তা গুলো ওদের মাথায়,
একটু বেশী নাড়া দেয়।
জীবনে কি করব এটার চেয়ে,
আগামী দিন গুলো কিভাবে কাটাবো,
সেই ভাবনাই ওদের বেশী।
বাবা যখন ফোন দিয়ে বলে,
এ মাসের টাকাটা কি দুদিন পরে দিলে হবে?
তখন খুব করে বলতে মন চায়,
টাকাটা না দিলেও হবে।
কিন্তু বলা যাবে না,
কারন এ শহর তাদের কে,
ঋণের বুঝা থেকে মুক্তি দেয়নি।
তাই বাবা কেও মুক্তি দেওয়া যাবেনা।
তবুও চায় বাবার সঞ্চয় হোক,
তাই দুদিন পরের কথাই সম্মতি দেয়।
পাঁচজন বন্ধুর আড্ডামহলে,
পাঁচ নাম্বার বন্ধুটা হল মধ্যবিত্ত ছেলেটা।
আড্ডা শেষে চার বন্ধু,
বাইকে করে বাড়ি ফিরলেও,
পঞ্চম বন্ধুটি প্রকৃতির রুপ দেখতে দেখতে,
রাস্তায় হাঁটতে থাকে বাড়ির উদ্দেশ্যে,
সে যেন প্রকৃতি প্রেমিক এক পথিক।
ক্লাসের সুন্দরী মেয়েটা একবার,
চোখ তুলে তাকালেও।
দীর্ঘ এক সপ্তাহ একই শার্ট,
আর পায়ের জুতা দেখে।
শেষ চাউনিতে থুথু ফেলে।
কারন পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী,
মধ্যবিত্ত বেকার ছেলে।