আহারে এত কষ্ট আমি কোথায়
রাখিরে?
আমার যে নেই কোন ভালো চশমা একটা।
মানুষের সামনে আমি কিভাবে দেখাব মুখটা?
অন্ধ যে জন ভাবিনা একবারও তাহার কথা,
দৃষ্টির আশায় কাটিয়ে তার জীবন গেলো বৃথা।
মিললো না মিললো না তাহার দৃষ্টি যে মিললো না,
আর আমার তো কেবল চশমাটা জুটলনা।
তবুও তাহার চেয়ে যেন আমার  অধিক যন্ত্রনা,
আমার রঙিন চোখে কেন চশমাটা জুটলনা?

হাত ঘড়িটাও আমার হয়নি একটুও সুন্দর,
এ ঘড়ি পড়ে আমি কেমনে ঘুরবো দেশ দেশান্তর?
কত জনে পড়ে কত সুন্দর কত নামি দামি ঘড়ি,
এই ঘড়ি পড়ে আমি কেমনে দিব এ শহর পারি?
এ ঘড়ি পড়লে সমাজ আমায় বলবে নিচু লোক,
পারবনা দেখাতে আমি সমাজে আমার এই মুখ।
হাতছাড়া পঙ্গুর দিকে যদি কভু দেখতাম ফিরে,
জমত না এত আশা আমার মনের ঘরে।
হাতছাড়া লোক পায়না খাবারটা ঠিকমত খেতে,
তার প্রার্থনা একটাই শুধু হাত গুলো ফিরে পেতে।
তবুও যেন তাহার চেয়ে আমার অধিক বেদনা,
আমি যে হাতে ভাল একটা ঘড়ি পড়তে পারি না।

এক জোড়া জুতা আমি কিনে ছিলাম হাঁটে,
আর ভাবি এ জুতা কি আমার পায়ে খাটে?
এ জুতা পায়ে দিয়ে কি করে হাঁটবো
পথে,
চলতে তো পারবনা আমি অন্যের
সাথে।
নিচু হয়ে যাবো আমি লোকের
চোখে,
যদি এ জুতা পরে মোরে কেউ হাঁটতে দেখে।
দেখিনা একবার চেয়ে ঐ পা ছাড়া পঙ্গুর দিকে,
কত না যন্ত্রনায় সে বেঁচে আছে পৃথিবীর বুকে।
পায়ের আশায় তার কাটল সারাটা
জীবন,
জুতা তো তার কাছে পাওয়া এক অমূল্য রতন।
তবু্ও আমি  মনে কোন শান্তি যে পাচ্ছি না,
আমার জুতা কেনো মনের মতো হচ্ছে না।

বুঝতে পারতাম যদি বিকলত্বের কত যন্ত্রনা,
যা পেয়েছি ভবে তাতেই দিতে পারতাম মনকে শান্তনা।
আহারে এত কষ্ট আমি কোথায় রাখিরে?
ভাবিনা একবারও বিকল যে আমার চেয়ে দুখীরে।