কারো চিবুকে তিল দেখলেই আমি নস্টালজিয়ায় ভুগি।
আমাকে দাবানলের মত পুড়ায় পৌরাণিক স্মৃতি।
চোখের কোন গলে নিশ্চুপে নেমে যায় বিষাদের ঢল,
আমি বাতাসের বুকে ছুড়ে ফেলি জমানো দীর্ঘশ্বাস।
ভাঙ্গা চাঁদ থেকে খসে পড়া জোছনা মুঠোবন্দি করে জেগে থাকা রাত্রি গুলো,
এখন বড়ই হাস্যকর লাগে।
রবীন্দ্রনাথ পড়তে বসে অজান্তেই ঝরে পড়া
নোনাজল জানি ছেলেমানুষি ছিল।
আমি বারবার ভালোবাসতে ভুল করি,
তবু আমি বারবার ভালোবাসি।
আমি যাকে ভালোবাসতাম সে এক অপ্সরী ছিল;
এক ষোড়শী নিষ্পাপ অপ্সরী।
ক্রমেই সে মানবী হয়ে উঠল,
কোন এক মানবের সাথে তার নিগূঢ়তম প্রেম।
ভালোবাসি বলতেই মোমের মত গলে গিয়ে-
মিশে যায় তার বুকে অথবা ঠোঁটে।
সে কোনদিনও বুঝেনি একটা ক্ষুদেবার্তার চেয়ে-
একখানি প্রেমপত্র কতটা কাব্যিক হয়;
অথবা একটা কাব্য অন্তঃকরণের কতটা কাছাকাছি হয় কিংবা এক বোতল মদের চেয়ে,
কত বেশি নেশা থাকে একটা কবিতায়।
সে কখনোই বুঝেনি প্রতিদিন একটা চুমুর চেয়ে-
প্রতিদিনের অপেক্ষায় কতটা তৃপ্তি মিশে থাকে;
অথবা চোখের ক্ষুধা মেটানোর চেয়ে-
চোখ পুড়িয়ে নেমে আসা নোনা জলে কতখানি
ভালোবাসা জমা থাকে।
মোটেও না, আমি তাকে ভালোবাসি না।
আমি রোজ রোজ নিয়ম করে তাকে ভুলে যাই।
আমি যাকে ভালোবাসি সে এক অপ্সরী;
সে কেবলই এক ষোড়শী নিষ্পাপ অপ্সরী।
.
০৩/০৩/১৭