"বিদায় পূর্ণামৃতা"
- সনজয় বিশ্বাস শান্ত

বিবর্ণ গোধূলি, আকাশে রক্তিম আভা নেই
জলস্রোতা নদীকে দেখতে এসেছে কালো মেঘ।
পূর্ণামৃতা, পরিচিত মুখের অবয়ব,
কণ্ঠস্বর, বাঁকা চাহনি সবই যেন ভীষণ অস্পষ্ট।
কাছে থেকেও আলোকবর্ষ দূরে তুই।

এটাই হয়তো শেষ দেখা
তোর সিঁথির সীমানা অন্যকারো ভালোবাসায়
রক্তিম হওয়ার আগে।

মনের সহস্র পথ, ভাবনার খেলাঘরে নামে সুনামি
স্বপ্নেরা লীন হয় মাঝ রাস্তায়।
সংবিত ফিরে পেলে ব্যর্থতা ঘিরে ধরে।
চোখের সমুদ্রে আঁকা বারমুডা ট্রাইএংগেল
যাকেই কাছে টানি হারায় চিরতরে।

পূর্ণামৃতা, ভেবে নিস আমি বলে কেউ
ছিলামনা কখনো।
আমার কোন অস্তিত্ব নেই আমি দুঃস্বপ্ন।

দু কাঁধেই পাপের বোঝা
সোজা হয়ে দাড়াতে পারিনা,
নড়বড়ে মেরুদন্ড।

মনভুলে জড়োকরা তোর ছবিগুলো
আলগোছে রাখা আছে ভীষণ যতনে।
কখনো সময় পেলে নিয়ে যাস।

পূর্ণামৃতা, উদাসী দুপুরে, বিষন্ন পাতাঝরা বিকেলে, গোধূলির কোলাহলে, পূর্ণিমা রাতে তোকে মনে পড়ে।
কাঠফাটা রোদে, মেঘলা প্রদোষে, বৃষ্টির শব্দে, রাতের স্তব্দ আঁধারে তোকে মনে পড়ে।
পউষের প্রভাতে কুয়াশার কোলাহলে
রোদ্দুর উঁকি দিলে তোকে মনে পড়ে।
মনে পড়ে, মনে পড়ে।

তুই নেই, সুখ নেই
ভালো থাকা ভুলে গেছি সেই কবেই।

একদিন মেঠোপথে কুহেলিকা গাঢ় হবে
কোন এক ভোরে।
তুই উষ্ণতা খুঁজে নিবি তোর
প্রিয়তমেষুর বাহুডোরে।

আমি ঈশ্বরের কাছে প্রাণভরে চাইব
তোর অস্তিত্ব, তোর অবয়ব স্মৃতি থেকে চিরতরে মুছে যাক,
পূর্ণামৃতা তুই আজীবন ভালো থাক।।

১৩/১০/১৬