বাবা আমাকে শিখিয়েছিলেন,
টাকার চেয়ে সম্মানটাই অনেক বড়।
তিনি বলেছিলেন, কখনো এমন কাজ করনা যাতে-
আমাদের উপর আঙুল উঠে বা আঘাত আসে।
যদিও কখনো বলা হয়নি, বাবাকে আমি প্রচন্ড ভালোবাসি।
আমার চারপাশে প্রচুর আবর্জনা।
আমি সহ্য করতে না পেরে একগাদা প্রতিবাদ টাইপ করি।
পোস্টে চাপ দেওয়ার আগে,
বাবার কথা ভাবি;
মা,
পরিবার,
তারপর ডিলিটে চাপ দিয়ে মুছে দেই বিবেক;
মুছে দেই মনুষ্যত্ব।
রাষ্ট্র অযথাই লিখে রেখেছে,
"প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা প্রদান করা হইলো।"
অথবা
"নাগরিকের সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।"
আমার শুধুই হাসি পায়।
আমাকে শেখানো হয়েছে, জলে বাস করে কুমিরের সাথে শত্রুতা করতে নেই।
তাই আমি নিশ্চুপে সহ্য করি সকল হিংস্রতা এবং যাবতীয় আবর্জনা।
আমি পুড়তে থাকি ছাই হয়ে উড়ে যায় প্রতিবাদ।
অথচ আমি শুনেছি, বীরেরা মাত্র একবার মৃত্যুবরণ করে আর কিনে নেয় স্থায়ী অমরত্ব।
যেহেতু আমি রোজ মৃত্যুবরণ করে বেঁচে থাকি;
অমরত্ব আমার জন্য নয়।
আমি স্ববিরোধী গলা টিপে হত্যা করি বিবেক;
নিশ্চুপে মেনে নেই মৃত্যু অথবা আবর্জনা।।
১৪/০৪/১৭
কৃষ্ণপুর।