নিরন্ন বিপন্ন আজ জঘণ্য সংকটের সন্ধ্যায়-
পারিপার্শিক ভয়ার্ত শোকার্ত ক্ষয়িষ্ণু অবসাদে,
মিলনের মালা ছিঁড়ে কুমারীর বাসর শয্যায়
সত্য কেঁদেছিল সেদিন, আজও কাঁদে!
রক্ষক সেজে ভক্ষকের দিন কাটে সদানন্দ
রাত্রি-দিনের ফসল খায় সে অসংকোচে নির্বিবাদে,
সাঁঝের কাকলী মায়াময় ছড়ায় অগ্নিস্নাত পুস্পগন্ধ
সত্য কেঁদেছিল সেদিন, আজও কাঁদে!
অদন্ডিত প্রসঙ্গকে দেখে খন্ডিত মাংস পিন্ড
ভ্রুকুটি ক’রে বুকে দুর্বহ পাথর বাধে,
বৈধব্যে বিকশিত ফুলগুলো পায় গুরুদন্ড
সত্য কেঁদেছিল সেদিন, আজও কাঁদে!
নীতির নামে দুর্নীতি করে অনেক বিবেকবান
সারাটি জগৎ ভাসে অশ্রুর লোনা স্বাদে,
সভ্যের মুখোশে মিথ্যের দামামা বাজায় কম্পমান
সত্য কেঁদেছিল সেদিন, আজও কাঁদে!
“তুমি মহারাজ; সাধু হলে আজ” আছে আজো তেমন
আজো নিষ্পাপ নির্দোষ তেমনি পড়ে মৃত্যু ফাঁদে,
ক্ষয় ও গ্লানিতে নির্মল অন্তর হারায় জীবন দর্শন
সত্য কেঁদেছিল সেদিন, আজও কাঁদে!
আইনের নামে দেখে যত বেআইনী কাজ
বিষাক্ত প্রতিধ্বনি ওঠে পৃথিবীর ছাদে
শুদ্ধজ্ঞান গুম্রে কাঁদে ঠিক বধুটি সলাজ
সত্য কেঁদেছিল সেদিন, আজও কাঁদে!
রক্ত-অশ্রু ঝ’রে সতীত্ব বিকোয় ধ্বংশের প্রেক্ষাপট
অত্যাচারী অস্ত্র হানে সর্বাঙ্গে বিণা অপরাধে,
ম্লানমুখী মধু চন্দ্রিমা জানায় সভ্যতার সংকট
সত্য কেঁদেছিল সেদিন, আজও কাঁদে!
আজীবন আত্মার দহনে পুড়ে যুগের কবি
জীবনে তার নিদাঘে কদম ফোটানোর খিদে,
চোখে ভাসে বন্দিনী নন্দিনীর ভয়ার্ত বিনম্র ছবি
সত্য কেঁদেছিল সেদিন, আজও কাঁদে!