পাখীর ডানা ঝাপটায় পাতা ঝরে যায়
ঝরা পালকের পাশেই গজায় পল্লব,
পাখীর গান শেষে নদীর উচ্ছল কলতান
কোরকের পাশে খোঁজে ফুলের গৌরব!

ঝর্ণার গতি গ্রাসে অগ্নিজ মরুর অভিশাপ
সে অভিশাপ ডোবায় জলবতী মেঘ,
মেঘের বুকে বজ্রের প্রসব বেদনা
স্থবির জীবন চঞ্চল করে দ্রুত বেগ!

মেঘের ভেলায় ভাসতে চায় কবিমন
কদম-কেয়া বনে ধাক্কা খায় সুরছন্দ,
খোঁপার ফুলগুলো মলিন স্রোতে ভাসে
রসময়ীর প্রেমে আকণ্ঠ তৃপ্ত, মুক্ত জীবনানন্দ!

উড়ন্ত ঘুড়ির প্রাণ চঞ্চল দোলায় দোলায়
দুরন্ত কিশোর দেখে ফুটন্ত গোলাপ,
চাতক-চাতকী বুকের দুর্বার স্নেহ-ভালবাসা
মেঘের বুকে মোছে দোদুল হতাশার অভিশাপ!

জীবনের দীপ সন্ধ্যার নিভূ নিভূ হেঁয়ালিতে-
ষোড়শীর স্বপ্নের আবেশে নয়তো দীপ্যমান,
দাবদাহের চৌচির নদীগর্ভে হংস মিথুন
বিতৃষ্ণ ম’রে সতৃষ্ণ করে অকাম্য অগ্নিস্নান!

পাথর সময়ের এ ভয়ংকর যন্ত্রগতিতেও
পতিতার চোখে ফোটে ভোরের ধ্রুবলাল,
পুষ্পের প্রাচুর্য তাই অপর্ণায় মুছে নিতে চায়
সকালের নিকোন উঠোনে অকাল দিনকাল!