মানুষ ছাড়া মনুষ্যত্ব আর তো কারো নেই,
চর্চ্চা করে যা সারা জীবন শ্রেষ্ঠ অনেকেই!
মধু ও বিষ-দু’টোই জমায় ফুলের পরাগধানী,
কেউ নেয় মধু, কেউ নেয় বিষ-এই মাত্র জানি !
ফুলের মাঝে বিষ থাকে তা ফুলের দোষ নয়,
নেবার মাঝেই নিহিত থাকে গ্রহিতার পরিচয়!
বিবেক ও পশুত্ব -দু’টোই থাকে মানুষের মাঝে,
পশুত্ব ছেড়ে বিবেকটাই মানুষ লাগায় নিজের কাজে!
ফুলের মধু “মনুষ্যত্ব” আর বিষটাই “পশুত্ব”,
এ দু’টোকে সামনে রেখেই রাঙায় কবি কবিত্ব!
তাই পশুত্বের চর্চ্চা করে কেউ কেউ হয় পাশবিক,
বিবেক-জ্ঞানের লালনে মানুষ সেজে ওঠে মানবিক!
এখন আসুন ভাবি বসে-আমরা কি হতে চাই,
মানুষ আর পশু-খুব পাশাপাশি চলে তাই!
হিংস্র নেশায় মেতে ওঠে জীবনে ভরা পশুত্ব,
মানবিক কাজে অগ্রনী কেউ হৃদয়ে নিয়ে মনুষ্যত্ব!
বিশ্বজোড়া কত আছে লক্ষ নারী-পুরুষ,
মনুষ্যত্ব নিয়েই কেবল হয় সভ্য মানুষ!
যত আছেন বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ সব মানুষের শীর্ষে,
(তাঁরা) মনুষ্যত্ব নিয়েই বরণীয় দিনপঞ্জি-বর্ষে!
যদি ভরে সমাজ খানি মনুষ্যত্বহীন-
(তবে) জীবন্মৃত বাঁচতে হবে নবীন কি প্রবীন!
মানবিক সকল কর্মে শোভে মনুষ্যত্বের টিপ,
আসুন বিশ্বে জ্বেলে দিই (সবাই) মানুষের প্রদীপ!