পূরুষ তো পূরুষ-ই
আর নারীও নারী-ই
তাই নির্বিচারে ধর্ষণ করে যায় পূরুষ-
আর অসহায় ভাবে ধর্ষিতা হতে থাকে নারী,
পিতা, ভ্রাতা, বন্ধু ও প্রতিবেশী ভুলে গেছে তারাও “মানুষ”
দুর্ভিক্ষের বিশাল সাম্রাজ্জে তাই “বিবেক” থাকে অনাহারী!
পৌরুষ থাকলেই পূরুষ হয়-
কথাটি নীতি বাক্য, তাই আজ তা মিথ্যে,
পূরুষাঙ্গ থাকলেই পূরুষ নিশ্চিত নিঃসংশয়
নারী সর্বত্র তাই নিরাপত্তাহীন-কতটুকু ফুটবে তা কবিত্বে?
কবি নজরুল রুদ্রকন্ঠে গেয়ে গেছেনঃ
“জাগো হতভাগিনী, ধর্ষিতা নাগিনী”,
বাস্তবে নারীরা নয় তো কবিতার “বনলতা সেন”
আসলে ধর্ষক প্রকোষ্ঠে তারা আজন্ম নিঃছিদ্র বন্দিনী!
প্রকৃত পক্ষেই জাগতেও ল’ড়তে হবে নারীদের এ দুর্দশায়
চন্দ্রালোক সমূলে গ্রাস করে যায় রাহুর খেয়ালী অন্ধকার,
লাঞ্ছিত নারীত্ব আজ স্পষ্ট দৃশ্যমান নিসর্গের আয়নায়-
ধর্ষিতার চিৎকার তাই রক্ত ঝরায় বিগলিত যন্ত্র-সভ্যতার!
অধিকন্তু শিক্ষা, চিকিৎসা, মানবতা, সভ্যতা, ভ্রাতৃত্ব, মাতৃত্ব
শিল্প, কাব্য-সাহিত্য, বিবেক, মনুষত্ব, জীবন-দর্শন
আইন, বিচার, বাণী চিরন্তনী ও মহামানবের মহত্ব-
সমকালে রক্তাক্ত করে ভয়ানক যুগ-প্রসূত দুর্বৃত্তের ধর্ষণ!
পূরুষেরা চিরদিন পূরুষ তাই চিরদিন লাঞ্ছিত মাতৃজাতি,
জীবশ্রেষ্ঠের নিকৃষ্ট অধঃপতনে-হিংস্রেরা মারে লাথি!