বিষের জন্য কেউটে বিষাক্ত
বিষ থাকে তার মুখে,
অন্তরে বিষ নিয়ে মানুষ বেড়ায়
অস্থির চঞ্চল সুখে!
হিংস্রতা, যৌনতা, স্বার্থপরতা, নিষ্ঠুরতা
বিষাকারে লুকিয়ে থাকে যার সত্বায়,
তার সমস্ত কর্মকান্ডে বিষ উছলি ওঠে-
কাজে, ব্যবহারে, কথায় ও চিন্তায়!
মুখের বিষে কেউটে বিষাক্ত করে
শুধু দংশিত ব্যক্তির সর্বাঙ্গ,
কিন্তু অন্তরের বিষে মানুষ বিষাক্ত করে
পরিবেশ, পরিজন সহ যত সঙ্গোপাঙ্গ!
চলমান অবক্ষয়ের যুগ এ কলিযুগে
বিষাক্ত মানুষের ছোবলে বিপর্যস্ত সভ্যতা,
সত্বার বিষ আর যন্ত্রদানব গতি মিলে
জীবনে এনেছে মরুপ্রান্তের রুক্ষ্মতা ও আগ্নেয়তা!
মানুষ জীবশ্রেষ্ঠ নেই আজ, মানুষও সে নেই
নিঃস্ফলা কাঁদে তাই ঐশী প্রদত্ত গুণাবলী,
বন্যেরা বনে সুন্দর, জনপদেও তারা আজ সুন্দর
কারণ মানুষ পরিচয়ে তারা মনুষত্বকে যায় না পায়ে দ’লি!
সার্বক্ষনিক বিষোদগারে অশান্ত পরিবেশ
জল-স্থল-নভোমন্ডল সর্বত্রই বিষাক্ত,
নিজের বিষে বিষাক্ত জীবন কান্নার্ত, স্থবির
তাই পরিবেশ সহ সে হচ্ছেই ক্ষত-বিক্ষত ও রক্তাক্ত!
এখন সেবিকার হাতে অন্তরের বিষ ধুয়ে নিতে হবে
কারণ বিষাক্ত মানুষের সংখ্যা হয়তো একটু বেশী,
বিষের পাত্রটা আজ সুধারসে ভরাতে হবে
তবেই জনপদ ভরবে মানবিক মানুষে, পালাবে স্বার্থান্বেষী!