কি করে লিখবো সর্বহারার কথা-
বঞ্চিত ও শোষিতের গান?
কি করে দাবদাহে আসবে জলবতীর বার্তা-
অপর্ণায় জাগবে ফুল ও ফসলের আহ্বান??
কবি নজরুল নই আমি-
হিমাদ্রি কাঁপানো বিদ্রোহী বীর
কথার মল্লারে যার সুধা ঝ’রে দামী-
কান্না-আহাজারি মুছে দেয় এই ধরনীর।
কবি নাই আমি মৃত্যু ক্ষুধার
জানিনি বুঝিনি দুঃসহ যন্ত্রণা,
কবিও নই আমি সর্বহারার
জনপদে ঘুরে হৃদিপটে দিই শুধু রক্তের আল্পনা।
বীণা-ই তো ভাল দেখিনি
কি করে বাজাবো “অগ্নিবীণা”?
বাঁশীও তো জীবনে শিখিনি
“বিষের বাঁশী” তাই করে আমায় প্রচন্ডতম ঘৃণা!
তবু না-ফোটা কলিরা কাঁপায় রক্ত দোলায়
নিহত বিহঙ্গ-শোকে গ’র্জে ওঠে দ্রোহী-কলম,
কোটি প্রাণ একত্রে জ্বলে অনির্বান শিখায়
অস্ত্রহীন বিবেক যুদ্ধের বার্তা ভাসে তাই সর্বোত্তম!
মুক্তি যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ কি মহাযুদ্ধ-
অনেক দেখেছে ব্যথা জর্জড়িত, ভারাক্রান্ত পৃথিবী,
ঝড় উত্তাল জনস্রোতও এখন রুক্ষ্ম, বিক্ষুব্ধ-
তাই সমকাল বিশ্ব চায় বিবেক যুদ্ধের লেখক-কবি!