যোজন যোজন দূরেও সুখের বাসা বাঁধে
তিলে তিলে ভালোবাসার স্বর্গ গড়ে
ভিন্ন ভালোলাগা মনকে নাড়া দিয়ে যায়
নিজের গড়া স্বপ্নের রাজ্যে উড়ু পাখি।
তোমার ঐ মিষ্টি অভিমান না হলে
এই ভালোলাগাটা অধরা থেকে যেত, কৃতজ্ঞতা
পূর্বের দুষ্টু মিষ্টি ভালোলাগার ফাকে ফাকে
কিছু কিছু কষ্টের মাঝেও সুখের ছায়া থাকে।
তোমার সাথে কথা বলার বেশ ইচ্ছে হচ্ছে
অপর দিকে, অভিমানের পাহাড়টাও বাড়ছে,
লুকায়িত আবেগ ভাবাবেগের কাছে দমিত
ধীরে ধীরে সময়ের গহ্বরে ক্ষত হয় প্রশমিত ।
ঐ ডাকটা ঠোঁট থেকে বেশ দূরে সরে গেছে
যেই ডাকটার ভাগ কখনো কাউকে দেইনি
এবার তোমার মনে নাড়া দিয়েছে নিশ্চয়ই ?
পাগলি, মন খারাপ করোনা, কষ্ট পাব।
চোখে জল এনো না কাজল উঠে যাবে,
উদাস নগরে ভ্রমণ করো না, বিষণ্ণতা আসবে।
অযাচিত দুঃখে আনন্দ যেন না হয় চূর্ণ,
হাঁসির ফুলঝড়িতে সদা থেকো পরিপূর্ণ।
বলেছিলাম আর কখনো জ্বালাব না
তাই, স্বেচ্ছায় দেয়ালের উপারে প্রস্থান ।
গাঁড় ভালোবাসা কখনো দূরেও ঠেলে দেয়
বিরহ, শক্তি সামর্থ্যকে নিঃশ্বেষ করে দেয়।
অবসাদ যেন না পায় তোমার খোঁজ
বেলির সৌরভে মুগ্ধকর হোক প্রতিরোজ।
হয় যদি দেখা চলতি পথে একা,
ভালোবাসার চাদরে দেখব আগামীর রেখা।
দূরত্বের উপারে তুমি সুন্দর থাক
কাঁটার ছোঁয়া যেন না লাগে হৃদে।
সুখকর হোক অনাগত আগামী
তোমার পক্কতার সাগরে নগণ্য আমি।
বিশ্বাস কর দৃঢ় চিত্ত্বে, গোলক ধাধার বৃত্তে,
তোমার যন্ত্রণার পাথেয় হব না
সুখের দিনের সহযোগীও হব না
বাইব না আর ঐ ডাকের নৌকা।
রাত ১:৩৫ মিনিট,
০৯/০৭/২০১৮ ইং, কল্যাণপুর, ঢাকা।