শান না দিতে দিতে
ভাবনায় মরিচা ধরেছে ।
আবেগায়িত শব্দগুলি হারিয়ে গেছে
ব্যস্ততায় বাস্তবতার কষাঘাতে ।
রঙ্গ রসের রোমাঞ্চকর শব্দ আসে না মনে,
কষ্ট বিষন্নতায় ভরা আঞ্চলিক,
আভিধানিক শব্দের গন্ধহীন মালা
মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে
কখনো আপন কখনো পরে ।
বস্ত্রের মত এগুলো সঙ্গি হয়ে
আক্রে আছে মাটির দেহে ।
ইচ্ছে করে ঝেরে ফেলে দিই
কিন্তু কেন জানি
সে ভাবে হয়ে উঠে না ।
মিষ্টি মিষ্টি কটু কথা মানিয়ে গেছে
অর্ধ গলিত
মধ্যম মাত্রার দলিত জীবনে ।
ভাবতে পার কটু কথা আবার
মিষ্টি হয় কি করে ?
সে তো বরাবরই তিতা,
হতে পারে বৈকি, স্থির হয়ে
একটু ভেবে দেখ মিলে যাবে
জ্যামিতির কোণের পরিমাপ ।
ইচ্ছেগুলোকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও
লোহার সিন্দুকে তালা দিয়েছি,
কিছু ছোট ছোট স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে ।
কে জানে সেই বলিদান
সার্থকতার শিখড়ে পৌছবে কি না ?
হলে হয়তো অন্তরের কালিমা
সাদা মেঘে ঢেকে যাবে ।
শ্রাবনে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ
সঙ্কর ধাতুর তৈরি চালায়
সায়াহ্নে বাঁজাবে মধুর সুর ।
ওপারের রাস্তা কি খুব বেশি দূর ?
১৯/০৩/২০১৫ ইংরেজি,
কল্যাণপুর, ঢাকা, রাত ০৪:১০ মিনিট ।