অন্ধকার গলির মুখে নানান প্রশ্নের বসত
বিবেক বর্জিতরা চলে ওখানে করে শপথ ।
পৃথিবীর সকল কাজ তুচ্ছ করে
ফুর্তিতে লুটায়ে অর্থ ঘরে ফেরে ।
ক্ষনিকের মোহে বিলিন করে সম্মান
দেহটা ওদের জন সম্মুখে থাকে নিষ্প্রাণ ।
নির্মল জীবনে ফেরার পথে পায় হাজারও বাধা
চালকের আসন থেকে দিয়ে বেড়ায় ওদের ধাঁদা ।
একবার ডুবলে ঐ কালো জলে
আস্তে আস্তে হারিয়ে যায় অতলে ।
ফেরা হয় না আর সুন্দর জীবনের কুলে
বিচরণ ক্ষেত্রটা সীমাবদ্ধ করে ঐ অন্ধকারের জালে ।
বিশুদ্ধ বায়ুর সান্বিদ্ধ্য ভুলে
কার্বনের ধোয়া নাসিকাতে নেয় তুলে ।
তিলে তিলে ধংস করে নিজের জীবন
সাথে সাথে নিশ্চিত করে প্রিয় মানু্ষের পতন ।
অন্ধকারের কান্ডারি তুমি কেন এত কালো ?
অপরকে নিস্ব করে, নিজের ভুবনে মশাল জালো ।
সময় হলে যাবে চলে অন্ধকার ঘরে
বুঝবে সেথায় কালো সরিসৃপের কামড়ে ।
পাবে না তখন কুল কিনারা আত্ত্বরক্ষার,
সময়ের দ্বার বেয়ে কর কৃত কর্মের প্রতিকার ।
ছাড় ছাড় অন্ধকারের গলি দু’হাত উন্মুক্ত করে
আলো যেন ফিরে আসে প্রত্যেকের নীড়ে ।
কল্যাণপুর, ঢাকা ।
২৭শে বৈশাখ,১৪২১ বাংলা, ১০/০৫/২০১৪ ইংরেজী ।