স্তম্ভহীন আকাশ থেকে পড়ছে গুড়ি গুড়ি বরফ খন্ড
জ্বালাময় গরমে, দু-দন্ড সুখের আবেশে আবৃত তপ্ত ভূ-খন্ড ।
ভালোবেসে কষ্ট গুলিকে হৃদয়ে করেছি জমা
তোমার মনের বরফ গলবে কবে ওগো তিলোত্তমা ?
বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যায় উপরের ময়লা
ভালোবাসার আঘাতে মন পুড়ে হয়েছে কয়লা ।
ঐখানে তো যায় না শিলা বৃষ্টির পানি,
পরিষ্কারের মন্ত্রটা কোথায় গিয়ে জানি ?
আকাশের ডাক জানান দেয় মানব স্নায়ুতে
শিলা বৃষ্টির আবেশ ছড়ায় শীতল বায়ুতে ।
ভালোবাসায় এ কি জ্বালা কাজেতে নেই মন
এই নদীতে নামলে পরে হারিয়ে যায় জন ।
মেঘবালিকা ভেসে বেড়ায় তপ্ত মরুর বুকে
বৃক্ষরাশি ডাকে তারে, আয় না ভিজিয়ে দে পরশ সুখে ।
প্রিয় জন সদা বিচরণ করে উতলা বুকে
মন মানুষের বিরহে কষ্টরা আগলে ধরে ধুকে ধুকে ।
শিলা বৃষ্টি আছড়ে পড়ে টিনের চালে
ঝন ঝন শন শন শব্দের তালে তালে ।
শন শন বাতাসের ঝাপ্টায়
ক্লান্তির ঘুম এসে চোখের পর্দা আটকায় ।
কার ইশারায় বৃষ্টি ঝড়ে ?
অন্তর কি সপেছি তারে ?
শিলারা সব গলে মাটিতে যায় মিশে
জীবনের এত রঙ, কি হবে পরিশেষে ?
২১ চৈত্র ১৪২০ বাংলা, ০৪/০৪/২০১৪ ইংরেজী,
কল্যাণপুর, ঢাকা ।