যুগল স্রোতের ধারা
আজ বিচ্ছিন্নতায় মিলায়
তোমায় আবেশিত স্বপ্নিল সন্ধ্যা
গোধূলির অগ্নিত প্রহরে বদ্ধ।
একান্ত আনন্দের পসরা সাজানো তুমি
লেলিহান শিখা হয়ে জ্বলন্ত।
বিচ্ছেদের অস্পৃশ্যতায় নয়,
তুমি তো হারিয়েছো-
মায়াবী সৌরভের আবিষ্টতায়।
তবুও সুখী ভব,অনিন্দ্য আনন্দ ভব-
উন্মাদ কাব্যের প্রেমিকা সুনন্দিতা ভব।
তবে জেনে নিও প্রিয়-
আমার আর গাওয়া হবে না-
তোমায় নিয়ে অপেক্ষার গান,
বলা হবে না তুমিই আমার প্রাণ।
এই চোখের দৃষ্টি আর খুঁজবে না-
সেই মিষ্টি বদনে ন্যস্ত সুখ,
এলোমেলো চুল আর কৃষ্ণ চোখ।
তবে আমার কোন অভিযোগ নেই,
নেই আর কোন অনুরোধ তোমায় পাওয়ার।
বুঝবো আমি আমার ভাগের-
সুখ খানি পুঁজি করে
হয়ে গেছো কোন এক শকুনের আহার।
হিংস্র শকুনে তোমায় খুবলে খাওয়ার পরও
আমি তোমায় ভালোবাসবো নন্দিতা-
ঠিক আজকের মতোই।
অমৃতকাল অব্দি এ দেহ-অন্তরাত্মা
সবই নন্দিতায় সমর্পিত যেনে নিও,
তুমি আমায় মনে রেখো।।