তোমার হাসি দেখে মনে হত-অসীম আকাশে,
নরম একখণ্ড সাদা মেঘ।
নন্দিতা, আজ কোথায় সেই হাসি ?
সেই ঘর,সেই বুকে বহন কৃত অনুভূতি।
শুনেছিলাম, ভালোবাসা বড় স্বার্থপর,
যে কোন মূল্যেই নাকি সে পরিণতি চায়।
আমি তা সত্যিই চাইনি।
কিন্তু তোমার হাসিতে বারবার-
ফাঁসিতে ঝুলেছে আমার কবিতা।
তুমি আমাকে তাই,
ভালোবাসার দ্বায়ে দায়ী করলে?
খুনের দ্বায়ে দায়ী করলেও,
ওতটা কষ্ট হতোনা।
সুনন্দিতা,আজ আমার দিনও আঁধার,
আনন্দগুলোও পুরোপুরি নির্জীব।
তোমাকে হাসতে দেখি না বলে-
বেদনাসিক্ত চোখ দুটো আর ঝলমলায় না,
হৃদয়ে আর কম্পন উঠে না।
আমি জানি তোমার কাছে আর-
পৌঁছানোর সাধ্য কবির নেই।
তবে কবির লেখা কবিতা মিসাইল হয়ে,
তোমার গড়া সকল কংক্রিটের দেয়াল-
ভেঙে পৌঁছে যাবে তোমার মনে।
সে তো তোমার হাসিটা অন্তত দেখতে পাবে।
তাই না নন্দিতা!