পোড়ানো সূর্য তখন দোর্দণ্ড প্রতাপে-
জ্বলছে আকাশে।
কবরের সন্নিকটে গোটা ক্রোশ কয়েক দূরেই,
পড়ে ছিলো পচা গোলাপের পাপড়ি,
নীল রঙা ল্যাভেন্ডার আর
সেসব থেকে উঠছিলো ঝাঁঝালো সুবাস।
আকাশ পরিষ্কার নীল।
জোরালো আর শুকনো বাতাস যেন-
চারিপাশ প্রদক্ষিণ করছিল আপন মহিমায়।
ওরা,আস্তে আস্তে কফিনটা-
নামিয়ে দেয় কবরের মাঝে।
সেখানে নামতেই বেশ জোরে শব্দ হয়।
নিরবতা ধপ করে ক্রন্দন সুরে পতিত হয়।
মাটি স্পর্শ করা কফিনের ধপাস-
আওয়াজ সে তো গুরুতরই বটে।
কালো বক্সের ভেতর থেকে তখন-
শুকনো ধুলো উড়ে ওঠে গভীর গর্ত থেকে।
জেগে ওঠে ফ্যাকাশে ও সাদা শ্বাস,
আর বাতাসে তা কিছুক্ষণ ছড়ায়, জুড়ায়।
“আর তুমি, ছায়াহীন মায়াহীন তুমি,
ঘুমাও বন্ধু আর বেঁচে থাকো;
তোমার নিরব ভগ্নাবশেষের-
শেষ শান্তি হয়ে বাঁচো,
বেঁচে থাকো।