বাসে চড়ে চুপটি করে, এদিক সেদিক চায়,
দেখে শুনে মতলব কি তার, জানবার ফুসরত নাই।
ছদ্দবেশী ভদ্র সাজি চোর যে বুঝা দায়!
হঠাৎ যখন ব্রেকটা কষে, পড়ল কারোর 'পরে,
মুচকি হেসে মাফটি চেয়ে পকেট দিল ছিড়ে।
পাজি এবার ত্বরি করে নামবে সদর ঘাটে,
ভীড়ের মাঝে ঠেলে দিল আরেক পকেট মেরে।
দেখলে পরে বদন তাহার, সাধু সাধু ভাব
এটাই তাহার বড় পুজি , স্যুট পরা নবাব।
গলে বাধা রঙ্গিন টাই, আর দামি হাত- ঘড়ি ,
জিনিস সবি পাওয়া তাহার, করে পকেট চুরি।
নিপুন হাতে সূক্ষ ধাচে, পলকে পকেট কাটে
বংশগত বিদ্যে বুঝি তাহার হাতেই বাচে।
একদা একজন জোর করিয়া ধরিল গলার টুটি,
বলে তেড়ে হারমজাদা করিছ কেনরে চুরি ?
লোকে যখন দিল তারে , নির্মমভাবে মার
মেরেই সবাই ক্ষান্ত হল, মরে বেটা সার।
কে জানিত আসিবে তাহার ,এমনি কুদি্ন,
মরার মাঝেই শেষ হল তার চৌর্যবৃত্তির দিন।