...
চন্দ্র সুর্য আগের মতই, উঠছে নামছে বিধানমত।
ভূ-মন্ডল-ও ঘুরছে যেন ক্লান্তি ভুলে আপন মত।
ঋতু এসে বিশ্বটাকে সাজিয়ে দেয় অন্যরকম ।
ফুলটা আজও সুবাস ছড়ায় চারিদিকে একইরকম।
সবই মানুষ তোমার জন্য, তুমি কাড় পরের অন্ন।
মানুষ বড় নির্দয় আজ নেই মমতা কারোর জন্য।
হায়রে মানুষ তোমার কি দোষ? মানুষ আজ বড় অসহায়!
কিসের জন্য মানুষগুলো ঐ রাস্তায় ’পরে ঘুমায়!
আহারে জাত, তুমি খোজ ডাষ্টবিনের ঐ নষ্ট ভাত!
ধনী-মানী-গুনী-জ্ঞানী, তারাও আবার তোমার স্বজাত!
একই আকাশ একই বাতাস আছে তোমার এবং তাহার ,
ব্যবধানের এ কোন , আচার-বিচার, ঐ বিশ্বমানবতার?
নষ্ট মানুষ নষ্ট সমাজ আজ সেজেছে সভ্যের সাজ ।
দরিদ্রকে ঘৃনা ভরে ছিঃ ছিঃ করে, যায় ছেড়ে পাশ।
মানবতা আজ ঘুমিয়ে আছে ওদের ঘরের রদ্ধধারে,
উদারতা আটকে আছে বিশালতার টুটি চেপে।
কিছু মানুষ মিছে আশায় পরের ঘরে আগুন জ্বালায় ,
কিছু মানুষ ক্ষুধার জ্বলায় নিজের গায়ে অস্র চালায়।
কিছু মানুষ, মানুষ নিয়ে শংখ সেজে খেলা করে ,
কেউ আবার হাত ঘুটিয়ে তাই দেখে হায় ভেবে মরে।
কিছু মানুষ ভিক্ষা করে, নিজের গায়ে করে ক্ষত ,
কিছু মানুষ ছিঃ ছিঃ করে ত্বরি করে , ছাড়ে পথ।
একটি কিশোর স্বপ্ন দেখে ধনী হয়ে গাড়ি চালায় ,
একটি কিশোর তারা গুণে রাস্তায় শুয়ে ছিড়ে কাথায়।
একটি মায়ে কান্না করে , অনেক খেয়েও খায় না শিশু ,
একটি মায়ের বুক ফাটে আজ, শিশুর জন্য নেই যে কিছু।
মনুষ্যত্ব আর মানবতা এসব যেন নাই যে কোথা।
হে নিষ্ঠুর মানবতা!