রূপপুরের সেই গ্রামটির কথা
আজও ভাসে দুচোখে আমার;
ছিলো বিশালকার
একেক জনের খেতখামার!
প্রতিজনের বাড়ী
গোয়াল ভরা গাভী!
যেথায় যাই যতো দূরে
আত্মীয় স্বজনের বাড়ী;
রোড ঘাট ছিলোনা
ছিলে পায়ে হাঁটা গাড়ী!
নানানরকম নানান ব্যাসে
চলতাম আমরা হেসে হেসে!
মোদের ছিল ডিঙি নৌকা
কলাগাছের তৈরি;
দুপুরবেলা ঘুরে বেড়াইতাম
ছোট্টখালে সেই নৌকায় চড়ি!
একেক-জনের বাগানবাড়ি
পাকা থাকতো গাছে নানানরকম ফল;
সেথায় চলে যেতাম ফল খাবো
গাছে ঢিল মারি চল!
শিখল বাবুর কানা দাদা ডাক দিয়ে বলে
গাছে ঢিল মেরেছিস কে-রে;
তোরা কে কোথায় আমায় একটু বল
কোথা থেকে কুটনি বুড়ির নাত্নী এসে বলে আমায় একটু দে রে!
কুটনি বুড়ির নান্তীর গালে
হাত কষা করে
জোরেশোরে দিলাম একটা চড়!
কান্নাকাটি করে দৌড়ে গিয়ে
মা'কে দিলো বলে,
লাঠি হাতে নিয়ে মা' আসছে রেগে
একশত গজ ভেগে!
মা'কে দেখে সবাই বলি
ওরে পালাই পালাই!
বাগানবাড়ি মা' ঘুরছে
আর আমাদেরই পিছু ছুটছে!
এক দৌড়ে মায়ের আগে
ঘরে ফিরছি মোরা;
রান্না ছিল মায়ের হাতের মাছ ভাত
মা' ঘরে আসার আগে আমি চুপিচুপি খাচ্ছি
ওদের-কেও ফিসফাস বলি ওরে খাসনা কেন তোরা!
বিকালবেলা মাঠে গিয়ে
মিছামিছি কতো বিয়ে!
মেতে উঠি অনেক খেলায়
সেই যে মোদের ছোট্ট বেলায়!
সকাল হলে সবাইর আগে
যেতাম আমি স্কুলে
সামনে বই রেখে সিট পাই;
পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি
হাবলু মামার বড় ছেলে
বসে আছে বাবলু ভাই!
জিজ্ঞেস করি সকাল সকাল কি খেয়েছো
আমি একটু জানতে চাই;
বলল সে রোজ সকাল
পান্তা ইলিশ ভাত খাই!