শরতের বিদায়ে হলদে আলোর রূপ নিয়ে
দোরঘন্টি বাজাল হেমন্তী ।
স্বচ্ছ কাচের জানালায় খররৌদ্রের বদলে হেমন্তী এসেছে কোমল আলোর আর্দ্র হাসি নিয়ে।
কার্তিক শেষ হলে হেমন্তী সকালে সবুজ ঘাসে
কিংবা ধান গাছের ডগায়
আসন গাড়ে শূচি শুভ্র শিশির বিন্দু।
শিশির ভেজা গাছের ডালে বেজে উঠে দোয়েলের শিস,
আর মৌ মৌ ধানের গন্ধে ভরে ওঠে কৃষাণের ধানের গোলা।
বাউলের একতারায় ধ্বনিত্ব হয় ভাটিয়ালি মুর্শিদি মারফতি সুর,
দক্ষিনা মলয়ে গাছের পাতায় পাতায় নাচে হেমন্তী রোদ্দুর।
নূতনের আগমনে নবান্নের উৎসবে
কৃষকের ঘরে ঘরে মেতে ওঠে পিঠা পায়েসের ধুম।
বনে বনে শিহরিয়া কোকিলের কুহু কুহু রবে যেন সরব চারিদিক..............
বরিশাল-২৮-১০-২০১৩