শুয়ে আছে পৃথিবীর মৃত্তিকা
মনোরম এক সৃজলা পরিবেশে
নওল সূর্যের সাথে পরম মিত্রতায়।
শিশির ঋতু সজিব করে তোলে বৃক্ষগুলো
খরের চাল বেয়ে পুঁই লতা বেড়ে ওঠে দ্রুত।
বৃক্ষে ফুল ফোটে ফুল ঝরে
পুষ্ট হয় লাউগুলো।
তখনো বিদায়ী ফুলের মৌমাছিরা
ভাবে ফুরিয়ে যাবেনা এই দিন।
ভোরের হাওয়া আমায় মৃদু স্বরে ডাকে
খড়ের বাসায় চঁড়ুই শব্দ করে
মোরগের আত্মচিৎকারে আমার ঘুম ভাঙ্গে,
চোখ থেকে দৃষ্টি সরে যায়
প্রকৃতির রুপচ্ছায়ায়।
চারদিকে নেই নীরবতা,
বেজে ওঠে পতঙ্গ পাখার ধ্বনি
থেমে নেই রাখালের বাঁশির সুর
আর নিত্য দিনের পথচলা।
কত যৌবন কত উষ্ণতায় ভরা
মুখরিত বাংলার চারদিক,
আমি ছুটে যাব বাংলার দিগন্তসীমায়,
আকাশের সাথে আমার লেনদেন
পাখির সাথে মোর গভীর মিতালী,
আমি শুনবো মাঠে তার উদয়ের ধ্বনি।
চলো স্বজন করি সেই ভূবন
যে ছিল অনন্ত যৌবনা।
চারদিকে বিস্তৃন্য সবুজের সমারোহ
সীমাহীন আকাশ তাকে দিয়েছে যৌবনা।
আমার অন্তে তারই দৃষ্টির মায়া
যার নেই কোন ক্ষয় নেই কোন ক্ষয়
শুধু ঘুমিয়ে পড়ার আগে
শতবার দেখবো তাকে শতবার দেখবো।
বরিশাল-২০-০৭-০৮