এখন অবদি বুঝতে পারলাম না...
কাজ করার জন্য বেঁচে আছি?
নাকি বেঁচে থাকার জন্য কাজ করছি...
ছোট বেলায় সবাই জিজ্ঞাসা করত?
বড় হয়ে তুমি কী হতে চাও?
তখন বলতে পারতাম না।
এত দিনে উত্তরটা পেলাম।
উত্তরটা হল, আবার ফিরে যেতে চাই ছোট বেলায়...
ক্লান্ত হয়ে গেছি,
এই জীবন যুদ্ধের চাকুরী থেকে।
যদি সম্ভব হয়,
জীবনের সব পাওনা মিটিয়ে আমায় অবসর দাও।
বন্ধুদের থেকে দূরে সরে আসতেই,
সত্যগুলো সামনে চলে আসলো।
মোটেই ভাল ছিল না তারা,
কিন্তু জীবনের মানে তাদের ঘীরেই ছিল।
ভর্তি পকেট দিয়ে গোটা পৃথিবী চিনতাম,
আর খালি পকেট দিয়ে আপনজন চিনলাম।
যখন টাকা উপার্জন করতে শিখলাম,
ঠিক তখনই সব বুঝতে পারলাম।
জীবনের শখগুলো,
একমাত্র বাবার কষ্টের টাকা দিয়েই পূর্ণ্ হত।
এখনতো নিজের টাকা দিয়ে,
শুধু নিজের প্রয়োজন টুকুই মেটে।
হাসতে ইচ্ছে না করলেও হাসতে হয়,
ভাল না থাকলেও বলতে হয়, ভাল আছি।
এটা একটা জীবনের নাটক!
এখানে সবাইকে এই নাট্য মঞ্চে
নাটক করতে হয়।
এখানে দেশলাইয়ের দরকার হয় না,
এখানে মানুষ মানুষকে দেখে জ্বলে পুড়ে মরে।
ঘুম আর মৃত্যুর মাঝে পার্থক্য কোথায়?
জীবন তার কথা মতই চলে,
সকাল হয়, সন্ধ্যাও হয়,
দেখতে দেখতে জীবন এভাবেই চলে যায়।
কেউ কেঁদে মন হাল্কা করে,
আবার কেউ হেসে দুঃখ লুকিয়ে রাখে।
প্রকৃতির কী অসীম ক্ষমতা!
জীবন্ত মানুষ জলে ডুবে যায়,
আর মৃত মানুষ জলে ভেসে উঠে।
বাস কন্ডাকটরের মত আমাদের জীবন।
রোজ ভ্রমণ করতে হয়,
কিন্তু গন্তব্যস্থল কোথায় তা জানা নেই।
প্রশ্ন খুঁজতে খুঁজতে,
নিজের ঘরেই উত্তরগুলো খুঁজে পাই।
ছাদ বলে, উচ্চ চিন্তাধারা কর,
সিলিং ফ্যান বলে, মাথা ঠান্ডা রাখ,
ঘড়ি বলে, প্রত্যেকটা সময় খুব দামী,
আয়না বলে, কিছু বলার আগে নিজেকে দেখ,
জানালা বলে, পৃথিবীর বাইরেটা দেখ,
দরজা বলে, লক্ষে পৌঁছতে হবে।
দাগগুলো বড়ই বিচিত্র,
কপালে থাকলে নাকি ভাগ্য বদলে যায়,
শিরায় কাটলে নাকি রক্ত বের হয়,
সম্পর্ক কাটলে নাকি দেয়াল তৈরী হয়।
এক টাকা নাকি এক লাখ-এর সমান নয়,
এই এক টাকা যদি,
এক লাখ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া যায়
তাহলে সেটা আর এক লাখ থাকে না।
আমরা সবাই আসলে,
সেই লাখ লাখ টাকার মাঝে এক টাকার মত।
আর বাকি সব, মিথ্যের পান্ডুলিপি।