ঘুড়ির নাটাই স্বযতনে তুলে রেখেছি
নিরব বিকেল,ঘুড়ি ঊড়া আকাশ,
অশুমালীর লোহিত হাসি।
ভূলতে পারিনি আজো মধুমাখ দিনগুলি।
ভোরের বেলায় দোয়েলের নাচা-নাচি,
কাঠাল পাতায় সোনালী রোদের খেলা,
মন্দ বাতাসে খুলে যাওয়া জানালায়;
নীল আকাশের স্বপ্ন রঙিন ছবি।
ভূলতে পারিনি আজো মধুমাখা দিনগুলি।
আজো মনে পরে, ধূলো মাখা সেই পথ
বিদ্যলয়ের ভাঙ্গা দেয়াল খানি।
মনে পরে আজো ছোট ছোট দলা-দলি।
ভূলতে পারিনি জীর্ণ মলাটে ঢাকা
হিজিবিজি সেই ভয়ানক বই গুলি।
কদম তলায় আজকের কিশোরীরা,
আগের মতই কিশোর ছেলের দল
দড়ি টানা-টানি খেলায় মত্তয়ারা।
তাদের মাঝে দেখি আমার ছবি।
মাগো, তোমার কিশোর ছেলে আমি
অনেক আগেই হারিয়ে গেছি যোযন যোযন দূরে।
খোকা বলে যদি ডাকো আমায়
ডেকে কোলে তুলে নাওগো যদি
ধুলার পোষাক ঝেরে।
বড্ড মনে পরে; মাগো,বড্ড মনে পরে।
ভূলতে পারিনি তোমার ছড়ার গান,
বাবার কণ্ঠে সুরেলা পল্লীগীতি।
আদর্শলিপির ছেড়া পাতার সেই বই
তোমাদের সেই মমতার পাঠ দান
ভূলতে পারিনি আজো মধুমাখা দিনগুলি।
আজো মনে পরে রাত জাগা কাতরানি।
তার সাথে মিশে তোমার আদর খানি।
চলে গেলো কত পিরা ব্যথা আর
তোমার চোখের জল।
ভূলতে পারিনি আজো সে’দিনের স্মৃতিগুলি।
মসজিদে আর ভাসেনা দাদুর সুর
আজানে আজানে ভাঙেনা কারো ঘুম
দূর আকাশে তাকিয়ে দেখিনা চাদ
রাত হলো কতো দূর।
আকাশে আজো ওঠে নিশীথের চাঁদ।
আর আসেনা লুকচুরির রাত।
কখন ফুরালো আমার কিশোর বেলা।
হায়রে জীবন, হায়রে অপয়া কাল;
নতুন করে আবার কিশোর নিয়ে
খেলছো আবার কিশোর বেলার খেলা।
হায়রে আমার কিশোর বেলার দিন
কি করে তোমায় এতো সহজে ভূলি?
ঘুড়ির নাটাই আজো পরে আছে,
শুধু বসে নেই মধুমাখা দিন গুলি।