আমি নইকো কোন কবি,
আমি ধ্বংশের হাতে অঙ্কিত
এক পাষাণ মূর্তি-ছবি।
কে বলেছে আমি কবি?
আমি নিজ হাতে খুন করেছি
আমার আপন চিত্ত,
লোলুপ হীয়ার জিহ্ব কেঁটেছি
নয়ন করেছি সিক্ত,
তবু সহসা করেছি নৃত্য
আমি নইকো শোকের ভৃত্য।
বুকের মাঝে হাতুড়ি ঠুকিছ
নেই কোন তার শব্দ,
জানি তুমিই হয়েছ জব্দ।
চেয়ে দেখ মোর শুষ্ক অধরে
হাসিতে ফুটেছে পদ্ম।
আমার মুখে কান্না নেইকো
বিকট হাসির শব্দ।
আমার কণ্ঠে দুলিছে
বিষালক্ষ্যের হার।
চাষ করেছি বক্ষে আমার
ফণীমনসার ঝাড়,
চক্ষে আমার সুরমার মত
হীরক চূর্ণ গজে,
আমার পায়ে জিঞ্জর সম
অগ্নি ঘূঙুড় বাজে।
হা! লালালা..লা……
সুখ আমাকে বেশ দিয়েছে
মহান আল্লাহ-তাআলা;
দুঃখের মাঝে ক’জন জানে
পড়তে সুখের মালা,
লালালা..লা…….
তবুও কি বলো আমি কবি?
আমি সুখ প্রিয় স্বার্থপর
আমি ভন্ড প্রেমের ছবি।
আমি অশান্ত এক মানবরূপী
হৃদয় ‘গ্রাসি রবি।
আমি যুবতীর প্রেমে সিঞ্জণ করি
বৃষ্টির মত আত্মা,
কখনো আমি ভিখারী হয়েছি
কখনো হর্তা-কর্তা।
আমি সুনিপুন অভিনেতা
আমি দক্ষ কারিগর;
আমি যে হাতে করেছি স্বপ্ন রচন
সে হাতে ভেঙেছি ঘড়।